নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুর :- শ্রমিক কাজিয়ার জেরে শুক্রবার সকালে টানা চার ঘন্টা উৎপাদন বন্ধ ছিল শ্যামনগর এক্সাইড ব্যাটারি কারখানায়। অভিযোগ উঠেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে কারখানার ভেতরে দুপক্ষের মধ্যে বচসার জেরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশও এসেছিল। দুপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে জগদ্দল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল। এদিন ভোর রাতে পুলিশ কারখানার শ্রমিক বিশ্বনাথ মাঝি ওরফে বাপি ও বহিরাগত যুবক বাপ্পা নস্করকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছিল। এদিন সকালে বাপিকে নিঃশর্তে ছাড়ার দাবিতে কাজ বন্ধ রেখে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় শ্রমিকদের একাংশ। এর ফলে এদিন সকাল ছ’টা থেকে দশটা পর্যন্ত কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। যদিও পরবর্তীতে কারখানায় ফের উৎপাদন চালু হয়।
অন্যদিকে বাপ্পা নস্করকে মুক্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে এবং রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মীরা-সহ শ্যামনগর এক্সাইড পার্মানেন্ট মজদুর মোর্চা। যদিও পরবর্তীতে আটক করা দুজনকে ছেড়ে দিয়েছে। এক্সাইড পার্মানেন্ট মজদুর মোর্চার কার্যকরী সভাপতি সঞ্জয় সিংয়ের জবাব, উৎপাদন কেন বন্ধ হয়েছিল, তা কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে। সঞ্জয় বাবুর কথায়, কারখানার ঝামেলায় যুক্ত নয় বাপ্পা নস্কর নামে এক যুবককে আটক করার প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। অপরদিকে জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, মজদুর মোর্চার এস কে সিং বাপি মাঝিকে মেরেছে। উল্টে পুলিশ বাপিকে আটক করেছিল। ওকে ছাড়ার দাবিতে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখে থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। কিন্তু তিনি শ্রমিকদের কাউকেই ডাকেন নি।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post