নিউজ ডেস্ক: উৎসব বাঙালির জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, উৎসব প্রিয় বঙ্গবাসী বর্ষবরণের পালা শেষ হওয়ার আগেই বাঙালি আবার যেন মেতে ওঠে কবি প্রণাম নিয়ে। রবি ঠাকুরের জম্মদিন এমন এক উৎসব যার মধ্যে মিশে আছে আরাধনার স্নিগ্ধতা আর উদযাপনের আনন্দ । এই উদযাপনের প্রস্তুতিতে কয়েক প্রলেপ আনন্দের রং দিয়ে সাজিয়ে তুললেন গায়িকা ও চিত্রকর সৌমিতা সাহা। সৌমিতা ও ফরাসি শিল্পী গ্রেগ সৌজের পরীক্ষা মূলক রবীন্দ্র সংগীতের কাজ চলতি বছরের শুরুর দিকে স্থান করে নিয়েছিল ইংল্যান্ডের বিখ্যাত এক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। এবার সেই অনবদ্য কাজ আবার স্থান পেল ইতালির আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব সেফালু আন্তর্জতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। ইতালির সিসিলি তে অবস্থিত সেফালু টাউনের এই উৎসবে স্থান পেয়েছে বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র, তথ্যচিত্র ও সাংগীতিক চলচ্চিত্র।
সাংগীতিক চলচ্চিত্র বিভাগে গান টি মনোনিত হওয়ায়, বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কে শিল্পী ভাগ করে নিয়েছেন, সেই সুখবর। উল্লেখ্য ফ্রান্সের পইতিয়ার নিবাসী শিল্পী বন্ধু গ্রেগ সৌজের রবীন্দ্র অনুরাগ মুগ্ধ করে সৌমিতাকে । তার পরই পৃথিবীর দুই প্রান্তের দুই সঙ্গীত অনুরাগীর যুগলব্দী প্রকাশ পায় রবি ঠাকুরের গান ” ও যে মানেনা মানা ” গানের মাধ্যমে। এই ইন্দো- ফরাসি সেতু বন্ধন পেশায় স্থপতি সৌমিতা ও গ্রেগের হাত ধরেই হয়। গায়িকা সৌমিতা সাহার চারুকলা জগতে রয়েছে আলাদা পরিচিতি, শিল্পীর আঁকা ছবি ভারতের বিভিন্ন স্থানের পাশাপশি প্রদর্শীত হয়েছে ওয়াশিংটন ডি সি, পোর্টল্যান্ড, ও ভেনেজুয়েলার আর্ট গ্যালারীতে। মিউজিক ভিডিওতে সৌমিতার আঁকা প্রাসঙ্গিক কিছু ছবিও স্থান পায়। ক্যামেরার কাজে ছিলেন শিল্পীর স্বামী আগ্নিভ চট্টোপাধ্যায়। বাকদান পর্বের পর আইনি বিবাহ সম্পন্ন করেন, সৌমিতা ও আগ্নিভ।
গানটির বিষয়ে সৌমিতা জানান ” গ্রেগ একজন আসম্ভ ভালো শিল্পী হওয়ার পাশাপশি ভীষণ ভালো একজন মানুষ।
শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের উপর ওর দখল সত্যিই প্রশংসনীয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের প্রতি ওর টান আমায় মুগ্ধ করেছে। অগ্নীভ, গ্রেগ বা আমি, আমরা কেউই আশা করিনি যে এই প্রজেক্ট টি কোনও আন্তর্জতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনিত হবে। দ্বিতীয় বার এমনটা হাওয়ায় আমরা সত্যি আশাবাদী, সব চেয়ে বেশি আনন্দের বিষয় যতটা রাস্তা আমরা হেঁটেছি, পুরোটাই রবি ঠাকুরের হাত ধরে হেঁটেছি, এটা যে কত বড় পাওনা, আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবনা।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post