নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুর :- বেতন বৃদ্ধি-সহ একাধিক ইস্যুতে বিক্ষোভের জেরে পরিষেবা কার্যত বন্ধ হয়ে গেল কাঁকিনাড়ার বেল্লে-শঙ্করপুর রাজীব গান্ধী মেমোরিয়াল আয়ুর্বেদিক কলেজ এন্ড হাসপাতালে। মঙ্গলবার সকাল থেকে হাসপাতালের গেটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভে সামিল হলেন কর্মচারীরা। কলেজ অধ্যক্ষের ঘরেও তালা লাগিয়ে দেওয়ায় মেডিকেল পড়ুয়াদের পড়াশুনা শিকেয় উঠেছে। বিক্ষোভের কারনে ফিরে যেতে হয়েছে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে রোগীদের। হাসপাতালের কর্মচারী মহম্মদ মোরাজি বলেন, ১৯৯৪ সালে হাসপাতাল গড়ে ওঠার সময় থেকে এখানে কাজ করছি। শুরুর দিকে বিনা পরিশ্রমিকে কাজ করলেও, পরবর্তীতে নূন্যতম বেতন মিলছে।
মোরাজির দাবি, বাম আমলে হাসপাতালটিকে সরকারি অধিগ্রহনের বিষয়ে ২০১১ সালের ৫ জানুয়ারি বিধানসভায় বিল পাশ হয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালে হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ননী গোপাল সরকারের মৃত্যুর পর রাতারাতি হাসপাতালটিকে টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের হাতে তুলে দেওয়া হল। কিন্তু হস্তান্তরের পরও তাদের বেতনও বাড়ালো না। মোরাজির অভিযোগ, আগে আউট ডোরে দেখাতে দুই টাকা টিকিট ছিল। এখন বেড়ে সেটা ৫০ টাকা হয়েছে। তাই এখানে এখন রোগীদের আনাগোনাও কমে গিয়েছে। বামআমলে হাসপাতালের উন্নয়নে সাংসদ তড়িৎ তোপদারের সাংসদ তহবিলের অর্থ এখানে দেওয়া হয়েছিল। শিল্পমন্ত্রী বিদুৎ গাঙ্গুলীও অর্থ প্রদান করেছেন। তা সত্ত্বেও হাসপাতালটিকে কেন টেকনো ইন্ডিয়ার হাতে তুলে দেওয়া হল, তা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। তবে হাসপাতালের পরিস্থিতির উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করলেন বিক্ষোভকারীরা। যদিও কলেজ অধ্যক্ষ তাপস মন্ডলের দাবি, বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, আগামী ৩১ জানুয়ারি কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনায় বসবেন।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post