সুরশ্রী রায় চৌধুরী: রামপুরহাট কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ বেলা ২টোয় মামলাটির শুনানি। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করে আদালত রামপুরহাট কাণ্ডকে কড়া ভাষায় নিন্দা করে। রামপুরহাটের ঘটনাকে ‘শকিং’, ‘ঘোরতর অপরাধ’ বলে উল্লেখ করে আদালত। এই ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই রামপুরহাট কাণ্ডে উপপ্রধান খুন ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়, দুটি পৃথক মামলা রুজু হয়েছে। জোড়া মামলার তদন্ত করছে SIT। আজ সব মামলারই একসঙ্গে শুনানি হবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।
আরো পড়ুন যুবতীর রহস্য মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য শ্যামনগর মাতৃপল্লীতে, ধৃত প্রেমিক
এখনও পর্যন্ত রামপুরহাটে কাণ্ডে ইতিমধ্যেই মোট ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এরমধ্যে ২২ জনকে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে, উপপ্রধান খুনে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। সোমবার রাতে বগটুই গ্রামের তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখকে লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়ে খুন করা হয়। ঘটনার পরই একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, রাতভর বোমাবাজি চলে। খুনের পরবর্তী অশান্তি, গন্ডগোলেই ১০ জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে এমনটাই সামনে এসেছে। যদিও ডিজির বক্তব্য, মৃতের সংখ্যা ৮।
আরো পড়ুন Suvendu Adhikari : রামপুরহাটে গণদাহ-গণহত্যা হয়েছে দাবি শুভেন্দুর
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবারই রামপুরহাট থানার OC এবং SDPO-কে ক্লোজ করা হয়েছে। এছাড়াও জ্ঞানবন্ত সিং, মিরাজ খালিদ এবং সঞ্জয় সিং-এর নেতৃত্বে SIT গঠন করা হয়েছে। বিজেপি ইতিমধ্যেই এঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছে। পাশাপাশি, আগামিকাল বগটুই গ্রামে আসছে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলও। অন্যদিকে, এই ঘটনায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রামপুরহাট কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে কড়া চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post