নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ১৭ ই জুন প্রায় সকাল নটা নাগাদ দিঘা- নন্দকুমার 116 B জাতীয় সড়ক চন্ডীপুর ফ্লাইওভারে ঘটে যায় একটি মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনা। একটি বাইক কাঁথি থেকে তমলুক আসার পথে একটি মারুতি ব্রেজার গাড়ি একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে ধাক্কা মারে ওই বাইকে।

বাইকটিকে ধাক্কা মারার সাথে সাথেই বাইকে থাকা আরোহী বাইক থেকে ছিটকে গিয়ে ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তায় পড়েন। বাইক আরোহীর নাম দেবাশিষ সেনগুপ্ত ( দেবা) (Debasish Sengupta), বয়স ৪২, বাড়ি কলকাতার গল্ফগ্রিনে। জানা গিয়েছে, দেবাশিষ সেনগুপ্ত (Debasish Sengupta) মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ এর কাজ করতেন, সেই কাজের সূত্রেই তাকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করতে হতো।
ঠিক সেই কারণেই ওই দিন তিনি কাজের সূত্রেই কাঁথি থেকে ফিরছিলেন তমলুকে। আর ফেরার পথেই ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। পথদুর্ঘটনায় হওয়ার পরে চন্ডীপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় এবং বাইক আরোহীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনায় চন্ডীপুর থানার পুলিশ বাইক আরোহীর দোষ বলে দাবি করছেন।
কিন্তু পরবর্তীকালে আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে ( Mirror CCTV Footage ) বাইক আরোহী দেবাশিস সেনগুপ্ত (Debasish Sengupta) সে তার নিজের লেন ধরে সঠিকভাবেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। আর মারুতি ব্রেজার গাড়িটি একটি বাসকে ওভারটেক করে উল্টোদিক থেকে এসে বাইককে ধাক্কা মারে।
চন্ডীপুর থানার প্রমাণ স্বরূপ এফআইআর দায়ের করলেও এখনো প্রজন্ত চন্ডীপুর থানার পুলিশ এই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি। পুলিশ শুধুমাত্র মারুতি ব্রেজার গাড়িটিকে থানায় আটকে রেখে ড্রাইভারকে বেকসুরভাবে ছেড়ে দিয়েছে।
সূত্রের খবর এও জানা গিয়েছে মারুতি গাড়িটিতে ড্রাইভার কে নিয়ে মোট ৫ জন আরোহী ছিলেন তাদের মধ্যে একজন জখম হয়েছেন। কিন্তু পুলিশ জানাচ্ছে গাড়িটিতে থাকা পাঁচজনই গুরুতর জখম হয়েছেন। কিন্তু ওই পাঁচজন কোন হাসপাতালে ভর্তি বা তাদের চিকিৎসা কোথায় হয়েছে সে ব্যাপারে চন্ডীপুর থানার পুলিশ কোনরকম সঠিক তথ্য দিতে পারেননি মৃত ব্যক্তি দেবাশীষ সেনগুপ্তর (Debasish Sengupta) পরিবারের লোকজনকে।
আবার সিসিটিভিতে এও দেখা গিয়েছে, মারুটি ব্রেজ্জা গাড়িটি বাইকটিকে ধাক্কা মারার পরে ঘুরে যায় এবং গাড়ি দাঁড় করানোর পরে গাড়িতে থাকা আরোহীরা সকলেই সুস্থ অবস্থাতেই গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ায়। উপরন্তু চন্ডিপুর থানার পুলিশ বাইক আরোহীকেই দোষী বলছেন যা সিসিটিভির ফুটেজ এর তথ্যে তার উল্টো প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। ঘাতক গাড়িটির নাম্বার, WB30AD9435 গাড়িটির মালিকের নাম শুভঙ্কর শাসমল এবং তিনি পাঁশকুড়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post