অভিজিৎ ভট্টাচার্য – “সংলাপ” দীর্ঘদিন ধরে যৌন হেনস্থার শিকার, পাচার এবং যৌন পল্লীর বাসিন্দাদের উন্নতির জন্য নানারকম কাজ করে আসছে। সম্প্রতি তারা এদের পাশে দাঁড়ালো “জব ফেয়ার” নামক সমাজমূলক অনুষ্ঠান করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংলাপের কর্ণধার পিনাকী রঞ্জন সিনহা; রেসকিউ এ্যন্ড রিলিফের ডিরেক্টর সিদ্ধার্থ ঘোষ; বিহানের ডিরেক্টর সমীর ব্যপটিস্ট প্রমূখ। এরা সবাই মিলে সমাজের পিছিয়ে পড়া এই শ্রেণীর জন্য ট্রেনিং ও কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। গত পঁচিশ বছর ধরে “সংলাপের” এই সংগ্রাম সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে। সংস্থার কর্ণধার পিনাকী রঞ্জন সিনহা জানান – যৌন হেনস্থা এবং পাচার রোধে কাজ করার সঙ্গে সঙ্গেযদি এদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে এদের সমাজের মূলস্রোতে ফেরানো সম্ভব হবে। আর এটাই “সংলাপের “ লক্ষ্য।
আরো পড়ুন সাংবাদিকদের করোনা যোদ্ধা সম্মান গারুলিয়ায়
বর্তমানে সব থেকে বড় সমস্যা যদি বলা হয় তা অবশ্যই বেকার সমস্যা। চাকুরী প্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপক কিন্তু পদের সংখ্যা নগন্য । এই অবস্থায় আমরা প্রায়ই দেখি বিভিন্ন জায়গাতে “ জব ফেয়ার”। উদ্দেশ্য কর্মপ্রার্থীদের কাজ সম্পর্কে ধ্যান ধারনা দেওয়া এবং সঠিক রাস্তা দেখানো। “ সংলাপে”র এই জব ফেয়ার কিন্তু অন্য ধরণের। সংলাপ দীর্ঘদিন ধরে যৌন হেনস্থা আর পাচার নিয়ে কাজ করে আসছে। এদের জব ফেয়ারে দেখা যাবে যৌনপল্লীর একটা বড় অংশকে যারা চাকুরীর জন্য খোঁজ করবে অর্থাৎ চাকুরীপ্রার্থী। সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার জন্য সংলাপের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে। এদের নিয়ে এই ধরণের জব ফেয়ার শুধু কলকাতাতে নয় সারা ভারতবর্ষেও প্রথম। যারা অবহেলিত, যারা সমাজের চোখে ব্রাত্য তাদের জন্য সংলাপ সবসময়ই কাজ করে যায়। এই সংস্থানের প্রধান পিনাকী রঞ্জন সিনহার কথায় এদের পাশে না দাঁড়ালে বা সমাজের মূল স্রোতে না ফেরাতে পারলে সমাজ থেকেএই বেশ্যাবৃত্তি বন্ধ করা যাবেনা।
আরো পড়ুন Balurghat: উড়বে বিমান, মঙ্গলবার বালুরঘাট বিমানবন্দর পরিদর্শনে আসছে এয়ারপোর্ট অথরিটি
এই জব ফেয়ারে অংশ গ্রহণ করছে যেমন বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তজার্তিক কোম্পানী, তেমনই এখানকার চাকুরীপ্রার্থী যৌন কর্মী ও যৌনকর্মীর সন্তানরা। উদ্দেশ্য এদের মূল স্রোতে ফেরানো। আসুন আমরা সংলাপের এই কাজে ওদের পাশে দাঁড়াই।
Discussion about this post