অভিজিৎ হাজরা , আমতা , হাওড়া :- স্কুলে স্কুলে গরমের ছুটি। দেখা নেই সহপাঠীদের সাথে।তাই মন খারাপ। এই অবস্থায় আগিয়ে আসে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের আমতা শাখার বিজ্ঞান কেন্দ্র। ছাত্র ছাত্রীদের মনের কথা ভেবে তারা গ্ৰামীণ হাওড়া জেলার ছোটমহড়া তারাপদ উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজন করে দু’দিন ব্যাপী ‘গ্ৰীষ্ণকালীন বিজ্ঞান শিবির ‘। শিবিরের মূল উদ্দেশ্য ছাত্র ছাত্রীদের হাতে কলমে আনন্দের মাধ্যমে বিজ্ঞান শিক্ষা এবং পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ। সেই নিরিখে প্রথম দিন হয় গণিত, রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞান শিক্ষার মজার আসর।
দ্বিতীয় দিন হয় আকর্ষণীয় ঘরোয়া উপায়ে সূর্য ও সৌরকলঙ্ক পর্যবেক্ষণের আসর। সহজ উপায়ে গণিত, রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানের পাঠ এবং সূর্য ও সৌরকলঙ্কের রহস্যময় জগৎ জেনে, ছাত্র ছাত্রীরা পায় অনাবিল আনন্দ। কম সময়েই তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে যুক্তিবাদী মন ও মনন এবং বৈজ্ঞানিক মেজাজ। মজায় ভরা দু’দিন ধরে এই শিক্ষা শিবির দৃড়তার সাথে পরিচালনা করেন- বাবলু জানা, শেফালী মেটিয়া, বনমালী পাত্র, হারুচাঁদ ধাড়া, প্রদ্যুত মান্না, অজয় মান্না ও রঘুনাথ দাস।অভিনব এই বিজ্ঞান শিক্ষার আসরে অংশ নেয়,অষ্টম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণীর, আমতার ৮ টি স্কুলের ৪০ জন ছাত্র ছাত্রী।
শেষ দিন শিবিরে উপস্থিত থেকে শিবিরের সাফল্য কামনা করে বক্তব্য রাখেন, পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের হাওড়া জেলার সম্পাদক অধ্যাপক ড. পার্থ ঘোষ।ড. ঘোষ খুব খুশি ছাত্র ছাত্রীদের শেখার আগ্ৰহ দেখে। তিনি আমতা বিজ্ঞান কেন্দ্রকে এই ধরণের বিজ্ঞান শিক্ষার আসর মাঝে মধ্যে আয়োজন করার কথা বলেন। সেই সাথে পার্থ বাবু শিবিরে অংশ নেওয়া ছাত্র ছাত্রীদের একটি করে শংসাপত্র দেওয়ার প্রস্তাব রাখেন। শিবিরে উপস্থিত থেকে ছাত্র ছাত্রীদের শুভেচ্ছা জানান, পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের হাওড়া জেলার কোষাধ্যক্ষ প্রাক্তন শিক্ষক অসীম ব্যানার্জী।
হাওড়া আমতার ছোটমহরা তারাপদ উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত,এই শিক্ষার আসর অভিভাবকদের মধ্যে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। অভিভাবক -অভিভাবিকাবৃন্দ আমতা বিজ্ঞান কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের বলেন , এই ধরনের বিজ্ঞান শিক্ষার আসর মাঝে মধ্যে এই বিদ্যালয়ে করার পাশাপাশি আমতা এলাকার অন্যান্য মাধ্যমিক,উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে করার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post