আমজাদ আলী, মালদা: মুখ্যমন্ত্রীর সাধের পথশ্রী প্রকল্পে দুর্নীতির ছায়া। নির্মাণের পাঁচ মাসেই নবনির্মিত রাস্তার বেহাল দশা।তিন দিনের লাগাতার বৃষ্টিতে ধস নেমেছে রাস্তায়।ভেঙে পড়ছে রাস্তার ঢালাই। ব্যাপক সমস্যায় স্থানীয় বাসিন্দা এবং পথচারীরা। রাস্তা নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি সংস্থার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বিক্ষোভ স্থানীয়দের। অভিযোগ সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর।
বৃষ্টির জলে নবনির্মিত রাস্তা দিয়ে উন্নয়ন ধুয়ে গেছে কটাক্ষ বিরোধীদের। দুর্নীতি হলে তদন্ত করে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে সাফাই তৃণমূলের। কোথায় এই রাস্তা? নির্মাণের পাঁচ মাসের মধ্যে ধ্বসে গেল যে রাস্তা। জানা গেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রহমতপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে রহমতপুর কবরস্থান পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা পথশ্রী প্রকল্পে ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দে নির্মাণ হয়েছিল। এলাকার মানুষেরা ভেবে ছিলেন এবার হয়তো বেহাল রাস্তার সমস্যার সমাধান হবে।কিন্তু তিন দিনের বৃষ্টি ভুল প্রমাণ করে দিল সেই ভাবনাকে। বৃষ্টির জলে উন্নয়নের চাদর সরে গিয়ে সামনে এলো দুর্নীতি।
তিন দিনের লাগাতার বৃষ্টিপাতেই ধ্বস নেমেছে রাস্তায়। নবনির্মিত রাস্তার এই অবস্থা দেখে চক্ষুচরক গাছ এলাকাবাসীর।ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে ভোগান্তির সম্মুখীন নিত্যযাত্রীরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ রাস্তা নির্মাণের সময় অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হয়েছিল। তাই পাঁচ মাসেই রাস্তার এই বেহাল দশা হল।প্রথমে ওই রাস্তায় ফাটল ধরে। তারপর সেই ফাটল দিয়ে বৃষ্টির জল ঢুকে সম্পূর্ণ ধ্বসে গেছে রাস্তা। যান চলাচল তো বটেই পায়ে হেঁটে চলাচল করতে গিয়েই মানুষ সমস্যায় পড়ছে। এলাকার প্রায় ৫০ টি পরিবার ব্যাপক সমস্যার মুখে। সমগ্র ঘটনা নিয়ে তদন্ত রাস্তা সংস্কারের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী। সমগ্র বিষয়ে খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে আশ্বাস জেলা শাসকের।
প্রসঙ্গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্য-জুড়ে ঘটা করে পথশ্রী প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের শাসক দল বলেছিল গ্রামে গ্রামে রাস্তার সমস্যা সমাধান হবে। এই প্রকল্পকে সামনে রেখে ভোটে লড়েছিল তৃণমূল।কিন্তু কয়েক মাসে সেই প্রকল্পের রাস্তারই এমন বেহাল দশা। স্বাভাবিক ভাবেই দুর্নীতি ইস্যুতে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post