নিজস্ব প্রতিনিধি – “শুধু ধুমধাম করে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেই হবে না, আগে দেশের সাধারণ মানুষের অধিকারকে সুরক্ষিত করতে হবে; নচেৎ এই অনুষ্ঠানের কোনো তাৎপর্য থাকবে না,” বলছিলেন কোলকাতা উচ্চ ন্যায়ালয় (Calcutta High Court) ও এলাহাবাদ উচ্চ ন্যায়ালয় (Allahabad High Court)-এর পূর্বতন মুখ্য ন্যায়াধীশ (Ex Chief Justice) তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল (Former Governor, Government of WB) শ্যামলকুমার সেন (Shyamal Kumar Sen)।
মন্টু দাস (বাঘা)-এর স্মরণে কোলকাতার ‘নরসিং স্পোর্টিং ক্লাব’ (Narsing Sporting Club) আয়োজিত এক রক্তদান শিবিরে এসে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক রূপে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে নিজের বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল উপরের কথা বলেন।
শ্রী সেন আজ বিরক্তি সহকারে আরো বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনীয় বস্তুর দাম সমানে বেড়েই চলেছে, সাধারণ মানুষের নাজেহাল অবস্থা অথচ এ বিষয়ে কারো কোনো হেলদোল নেই। রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীদের অবিলম্বে ঝগড়া বন্ধ করে নতুনভাবে দেশ গড়ার কথা ভাবতে হবে।”
আজ অনুষ্ঠান মঞ্চে শ্যামলকুমার সেন আসার পর তাঁকে সংস্থার পক্ষ থেকে বরণ করে নেন কোলকাতা পৌরনিগমের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরমাতা সোমা চৌধুরী।
পরে একে একে মঞ্চে আসেন আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (MP Sudip Bandyopadhyay), বিধায়ক তাপস রায় (MLA Tapash Roy), তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম বরিষ্ঠ নেতা সঞ্জয় বক্সি (Sanjoy Bakshi) এবং স্মিতা বক্সি (Smita Bakshi), কোলকাতা পৌরনিগমের ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরমাতা সুপর্ণা দত্ত (Suparna Dutta) সহ কোলকাতা পৌরনিগমের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি পিয়াল চৌধুরী (Piyal Chowdhury), ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি অরুন হাজরা (Arun Hazra), সৌম বক্সি (Soumya Bakshi), সঞ্জয় রায় (Sanjay Roy), প্রবন্ধ রায় (ফ্যান্টা) (Prabandha Roy) প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।
‘নরসিং স্পোর্টিং ক্লাব’-এর পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক (Convenor) পিন্টু দাস (Pinttu Das) জানান, “১৩ তম বর্ষে পদার্পণ করল আমাদের এই রক্তদান উৎসব। ‘পিপলস ব্লাড ব্যাঙ্ক’-এর তরফ থেকে আজ রক্তা সংগ্রহ করা হচ্ছে।” শেষ তথ্য অনুযায়ী আজকের শিবিরে মোট রক্তদান করেন ৬৮ জন, এদের মধ্যে পুরুষ ছিলেন ৫১ জন ও ১৭ জন নারী।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post