সুরশ্রী রায় চৌধুরী: দক্ষিণ কলকাতায় শোভন-বৈশাখীর বাড়িতে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের একে অপরের গালে রং লাগিয়ে দোল সেলিব্রেট করলেন। দুর্গাপুজোয় একে অপরের হাতে-হাত ধরে নেচে উঠেছিলেন শোভন ও বৈশাখী।
দশমীতে আবার প্রাক্তন অধ্যাপিকা বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুরও পরিয়ে দেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করে সকলকে হোলির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বৈশাখী। ছবিতে শোভন ও বৈশাখী কখনও একে অপরের গাল রাঙিয়ে দিচ্ছেন লাল রংয়ে, তো কখনও পরস্পরকে ঠান্ডাই খাইয়ে দিচ্ছেন। তাঁদের সঙ্গে রঙের খেলায় মেতে ওঠে বৈশাখীকন্যা মেহুলও।
এ দিন সকলের জন্য মিষ্টি মুখ করান বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। রঙ খেলা শেষে সকলকে নিজে হাতে মিষ্টি খাইয়ে দিয়েছেন তিনি। পরিবারের পাশাপাশি এ দিন একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দোলের আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন দু’জনে।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে, জনপ্রিয় এক দম্পতির চুমু খাওয়া নিয়ে প্রকাশিত একটি সংবাদ নিয়ে মন্তব্য করেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সেই মন্তব্য এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা আসলে ব্যক্তিগত সুন্দর মুহূর্তগুলোকে পাবলিক করার সময়ে ভুলে যাই, কোন গন্ডি পেরিয়ে গেলাম, তাতে সেই রসায়ন আর থাকে না।
আমরা সেই রসায়ণ কারো সামনে তুলে ধরিনি। সম্পর্কের গোপনীয়তা উন্মোচন করিনি কখনও। যদি সব পাবলিক করে দিতাম, তাহলে মনে হত আমরা খুব বারোয়ারি হয়ে গেলাম। এই বারোয়ারি জিনিসটা আমার বা শোভনের পছন্দ নয়। আমরা সবসময় চাই আমাদের প্রেম থাকুক নিভৃতে মনের মধ্যে, প্রেম থাকুক কাজে-কর্মে এবং জীবন বোধে।”
প্রাক্তন মেয়রের কথায়, “প্রেমের উপলব্ধি যদি করতে হয়, তাহলে বুঝতে হবে মেড ফর ইচ আদার। শোভন-বৈশাখী একসঙ্গে উচ্চারণ করলে প্রেম কী জিনিস তা বোঝা যাবে”।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post