সুরশ্রী রায় চৌধুরী : শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গতোবায়া রাজাপাক্ষে। বিগত এক সপ্তাহ ধরে চরম আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যে দিন কাটালেও, শুক্রবার রাত থেকেই দেশজুড়ে ছড়াতে শুরু করেছে বিক্ষোভের আঁচ। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ দেখানোর পরই দেশে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার অবধি এই জরুরি অবস্থা জারি থাকবে। একই সঙ্গে ফেসবুক, টুইটার সহ সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন ধাওয়া করে মোবাইল চোরকে পাকড়াও করে উত্তম মধ্যম দিলেন কাঁকিনাড়ার গৃহবধূ
একদিকে, করোনার ধাক্কায় থমকে দাঁড়িয়েছিল অর্থনীতি, অন্যদিকে চিনের কাছ থেকে চড়া সুদে নেওয়া ঋণের চাপে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা। এমনই চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে যে দেশের ডিজেলের ভাঁড়ার শূন্য হয়ে গিয়েছে। ৩০ শতাংশ চড়া দামে বিকোচ্ছে খাবার, ওষুধ। পরিশোধিত পানীয় জলও পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠেছে। এই কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েই বাধ্য হয়ে পথে নেমেছে দেশের সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন প্রান্ত শুরু হয়েছে প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। এর জেরেই শনিবার থেকে দেশে ৩৬ ঘণ্টার জন্য জরুরি অবস্থার ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধে ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬ টা অবধি জরুরি অবস্থা জারি থাকবে। সরকারের তরফে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, জরুরি অবস্থার নিয়ম অনুযায়ী কার্ফু চলাকালীন অত্য়াবশ্যকীয় পরিষেবা ছাড়া সাধারণ মানুষ বাড়ি ছেড়ে বেরতে পারবে না।
আরো পড়ুন Nasal Vaccine: সূচ ফুটিয়ে টিকা নেওয়ার দিন শেষ, ছাড়পত্র পেল নাকে স্প্রে করার টিকা স্পুটনিক-ভি
সেনাবাহিনীর হাতে দেশের শাসনভার তুলে দেওয়া হয়েছে। বিনা বিচারেই কাউকে গ্রেফতার ও দীর্ঘ সময় বন্দি করে রাখার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীর হাতে। একইসঙ্গে শ্রীলঙ্কা সরকার সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া সাইট, যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইউটিউব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারের তরফে এই পদক্ষেপের সাফাই দিয়ে বলা হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post