সুরশ্রী রায় চৌধুরী: হয়ে গেলো নেতাজি ইনডোরে ২৮ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধণ। তাই টলিপাড়ায় আজ শ্যুটিং বন্ধ এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গিল্ড। প্রোডাকশন হাউজগুলির কাছে সেরকম সার্কুলারও পৌঁছেছে গিল্ডের তরফ থেকে। যেহেতু ধারাবাহিক এবং ছবির কলাকুশলীদের বেশিরভাগই নেতাজি ইনডোরে চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত এবং হাজির থাকবেন, তাই টালিগঞ্জের স্টুডিওগুলোতে আজ শ্যুটিং হবে না।
বেশিরভাগ প্রোডাকশন হাউজগুলি আজ তাদের ধারাবাহিকের কাজ বন্ধ রেখেছে। অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী ফেসবুকে সেই খবর দিয়ে লিখেছেন, ‘আমারও আজ সিনেমার শ্যুটিং ছিল। গতকাল ক্যানসেল হয়ে গেলো। শুনলাম, মেসেজ এসেছে, শ্যুটিং রাখা যাবে না! কী মজা! হঠাৎ পাওয়া ছুটি এমন উত্তেজনা এনে দেয়, মনে হয় একদিনে অনেক কিছু করে ফেলি।’ কিন্তু কেবল খবর দেওয়ার উদ্দেশ্যে তাঁর এই পোস্ট নয়। হঠাৎ সমস্ত শ্যুটিং বন্ধ হওয়ার খবরে ব্যঙ্গের মোড়কে লিখলেন অভিনেত্রী।
তাঁর লেখায়, ‘দেশ বিদেশের তাবড় সিনেমা নির্দেশক/নির্মাতারা আসছেন। তাঁদের দেখতে যাবেন আমাদের শিল্পী ও কলাকুশলীরা। খুবই শুভ উদ্যোগ! এমন করে আগে কেউ কখনো ভাবতেন বলে জানি না। তবে এব্যাপারে আমার এক খান প্রস্তাব ও আছে। সেটা হলো, শুধু আর্টিস্ট দেখা এবং উদ্বোধনী ছবি দেখায় থেমে না থেকে আমরা যাতে একটু ভালো সিনেমা দেখার ও সুযোগ পাই, তার জন্য ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ১০ দিন সব শুটিং বন্ধ রাখা হোক।
আমরা ফিল্ম/টিভি/ওয়েব ইন্ডাস্ট্রির সমস্ত অভিনেতা ও কলাকুশলীরা ১০ দিন ধরে চুটিয়ে সিনেমা দেখি।’ এছাড়া তাঁর অনুরোধ, ‘এই ছুটিটা বছরের শুরুতেই ঘোষণা করে দেওয়া হোক। তাহলে ওই কটা দিন আগে থেকে শ্যুটিং রেখে, শেষ মুহূর্তে মেসেজ পেয়ে বন্ধ করতে বাধ্য হয়ে প্রযোজক/পরিচালকদের টাকা পয়সার ক্ষতি হয় না, চোখের সামনে সব পরিকল্পনা ঘেঁটে ঘ হতে দেখতে হয় না, টিভি টেলিকাস্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না, এই আর কি।’

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post