সুরশ্রী রায় চৌধুরী : গত ৪ মার্চ বারাণসী থেকে কলকাতায় ফেরার পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ( Mamata Banerjee ) বিমান ল্যান্ডিংয়ে বিভ্রাট হয়। বিমান ল্যান্ডিংয়ে বিভ্রাট নিয়ে এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। জানালেন, সেদিন কোন টারবুলেন্স হয়নি। পাইলটের দক্ষতায় অন্য একটি বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়িয়ে যাওয়া গিয়েছে। তবে, আর দশ-পনেরো সেকেন্ড দেরি হলেই বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
আরো পড়ুন এডমিট না পাওয়ায় প্রধান শিক্ষকের মুখে কালি লেপে দিলেন এক অভিভাবিকা
জানা গিয়েছে, ল্যান্ডিংয়ের সময় আচমকাই নির্দিষ্ট উচ্চতা থেকে বেশ কিছুটা নীচে নেমে আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ( Mamata Banerjee ) বিমানটি। ল্যান্ডিংয়ের ঠিক আগেই এমন ঘটনা ঘটে। সেই সময়ে প্রবল ঝাঁকুনি দেওয়ায় সামান্য চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিন বিধানসভার অলিন্দে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ”সেদিন কাছাকাছি আরেকটি প্লেন এসেছিল। কোন টারবুলেন্স নয়। পাইলট দক্ষতার সঙ্গে বিষয়টি সামলেছেন। তাই কোন সংঘর্ষ হয়নি। হঠাৎ ৮০০০ ফুট থেকে নীচে নেমে আসে বিমান।” তবে, মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা, ”আর ১০-১৫ সেকেন্ড দেরি হলেই ঘটে যেতে পারত দুর্ঘটনা। আমার কোমরে ও বুকে এখনও ব্যথা আছে। এই বিষয়ে আজ অবধি কোনও রিপোর্ট দেয়নি।” তবে, আচমকা এহেন ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল বিমানে থাকা যাত্রীদের মধ্যে। কিন্তু কেন এই ধরণের ঘটনা ঘটল তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
আরো পড়ুন কামারহাটিতে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ বিরোধী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে
ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, এখনও কোন রিপোর্ট যে পাওয়া যায়নি, তা এদিন মুখ্যমন্ত্রীই জানিয়ে দেন। গত সপ্তাহে দুদিনের সফরে বারাণসী গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata Banerjee )। মূলত অখিলেশ যাদবের হয়ে প্রচারে যোগ দিতে তাঁর এই সফর ছিল। একই সঙ্গে কাশী বিশ্বনাথও দর্শন করেন তিনি। আর সেই সফর সেরে ফেরার পথেই ঘটে এই বিমান বিভ্রাট।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post