নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুর :- উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বুধবার বেলায় তীব্র উত্তেজনা ছড়াল খড়দা থানার সোদপুর ধানকল মোড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় মৃতার পরিবারের লোকজন। অবশেষে খড়দা থানার পুলিশ এসে উত্তেজনার সামাল দেয়। মৃত ছাত্রীর নাম জুলি কুমারী। বয়স ১৮ বছর। টিটাগড় আর্য বিদ্যালয়ের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল জুলি।
আরো পড়ুন Tar Galpo: বাস্তবেই কি ‘তার গল্প’!
জানা গিয়েছে, শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে গত ৩ এপ্রিল রাতে সোদপুর ধানকল মোড়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী জুলি । গত ৪ এপ্রিল অর্থাৎ সোমবার হাসপাতালের বেড়ে বসেই সে ইংরেজি পরীক্ষা দিয়েছিল। কিন্তু বুধবার সকালের দিকে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। ওকে এক্ষুণি অন্য হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন। এরপর রোগীর পরিবার কামারহাটির সাগরদত্ত হাসপাতালে নিয়ে সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়ে দেয়, এক ঘণ্টা আগেই ওঁর মৃত্যু হয়েছে। এরপরই চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয় সোদপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে।
খড়দা থানার পুলিশ এসে উত্তেজনার সামাল দেয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকের শাস্তির দাবি তোলেন মৃতার পরিবার ও প্রতিবেশীরা। মৃতার বাবা সঞ্জয় রাওয়াতের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির জন্য মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকের শাস্তির দাবি মৃতার পরিবারের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতালের তরফে সুন্দরাম পিল্লাই জানান, ওনারা রোগীকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরী করেছেন। পানিহাটি পুরসভা থেকে এম্বুলেন্সও ডাকা হয়েছিল।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post