দেবশ্রী মুখার্জী : অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল ব্যাংক অফিসার্স ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ব্যাংক বেসরকারি করনের বিরোধিতায় এবং ব্যাংকের শূন্য পদে স্থায়ী কর্মীর চাকরির দাবিতে সংস্থার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দাস এর নেতৃত্বে ও অন্যান্য সদস্য অভিজিৎ মন্ডল, শুভজিত চক্রবর্তী, অমিত দত্ত, দেবাশীষ মন্ডল সহযোগিতায় শ্রীরামপুরে গত ২১ শে সেপ্টেম্বর এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে জানানো হয় মুষ্টিমেয় কিছু ধনী শিল্পপতিদের হাত থেকে দেশের অর্থনীতি আমজনতার উন্নতির কল্পে ব্যবহারের জন্য ব্যাংক জাতীয়করণ হয়েছিল। এর ফলে দেশর সার্বিক বিকাশ হয়। ব্যাংক জাতীয়করণ দেশের সামগ্রিক উন্নতির সাধনে। দেশের খেটে খাওয়া মানুষের আশা, ভরসা, বিশ্বাসের একটি জায়গা এই সরকারি ব্যাংক।
ব্যাংক বেসরকারিকরণ হলে তা তা কখনোই জনস্বার্থের হিতে হবে না। বরং ১৯৬৯ সালে ভারতবর্ষে যে মহাজন প্রথার প্রাধান্য লক্ষ্য ছিল তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে। কারণ ১৯৯১ পর থেকে আজ পর্যন্ত ৩৮ টি বেসরকারি ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেছে একথায় দেউলিয়া হয়ে গেছে । এমতাবস্থায় বর্তমানে দেশের সরকারি ব্যাংক গুলিকে সরকারি করন করলে সাধারণ মানুষের দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রতি যে আসা বিশ্বাস তা যেমন ক্ষুন্ন হবে আর সাথে সরকারি সম্পত্তি মুষ্টিমেয় কিছু পুঁজিবাদীর কাছে তুলে দিলে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা পরাধীনতার কবলে চলে যাবে। জনগণের উদ্দেশ্যে তারা এও জানান, ব্যাংকের কর্মচারীরা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনেক সংগঠন তাদের সাথে আন্দোলনে যোগদান করেছে ও দেশবাসীয়ও আজ আন্দোলনরত। আগামী দিনে ব্যাংক বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে ও ব্যাংকের শূন্য পদে স্থায়ী কর্মী নিয়োগের দাবিতে অল ইন্ডিয়া ন্যাশনালাইজ ব্যাঙ্ক অফিসার্স ফেডারেশন প্রতিনিয়ত আন্দোলন করছে ও আগামী দিনে এই আন্দোলন আরো বৃহত্তর হবে ।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post