অনল জানা: মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষা ইংরেজীর সাথে বাংলা ভাষায় নেওয়া এবং বাংলা ভাষার লিখিত পেপার বাধ্যতামূলকের দাবিতে আজ মৌলালিতে সংস্থার দপ্তরে ডেপুটেশন কর্মসূচী করে বাংলা পক্ষ। কর্মসূচীতে সংগঠনের সাধারন সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, কলকাতা জেলার সম্পাদক অরিন্দম চ্যাটার্জী, হুগলীর সম্পাদক দর্পণ ঘোষ, হাওড়ার সম্পাদক জয়দীপ দে, উত্তর ২৪ পরগণা (গ্রামীণ) এর সম্পাদক দেবাশিস মজুমদার সহ শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
ডেপুটেশনের আগে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন “বাংলাই একমাত্র রাজ্য যেখানে পৌরসভায় চাকরি পেতে নিজের মাতৃভাষায় পরীক্ষা দেওয়া যায় না। ভারতের কোন রাজ্যেই এটা সম্ভব নয়, ইংরেজীর সাথে মূল রাজ্যভাষা থাকেই। বাংলা ব্যতিক্রম হতে পারে না। অবিলম্বে মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা বাংলা ভাষায় দেওয়ার সুযোগ চাই। সেই সঙ্গে বাংলা ভাষার লিখিত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার ব্যবস্থাও করতে হবে, কারণ বাংলা না জেনে বাঙালিকে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়।”
কৌশিক মাইতি ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যের উদাহরণ দিয়ে দাবি করেন “অবিলম্বে চাকরির যোগ্যতামানে মাধ্যমিক/উচ্চমাধ্যমিক স্তরে বাংলা ভাষা থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে। সেই সঙ্গে ডোমিসাইল আইন কঠোর ভাবে প্রয়োগ করতে হবে। বাংলার চাকরি বাঙালি তথা বাংলার ভূমিপুত্রের জন্য, একটা চাকরিও বহিরাগতদের কাছে যেতে দেওয়া যাবে না। বাংলা পক্ষ বাঙালির চাকরির নিশ্চয়তার জন্য লড়ছে।”
গর্গ চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক মাইতি ও অরিন্দম চ্যাটার্জী- তিনজনের প্রতিনিধি দল সংস্থার চেয়াম্যানের কাছে ডেপুটেশন প্রদান করেন এবং বিস্তারে আলোচনা করেন। আলোচনা সদর্থক হয়েছে। তিনি উপযুক্ত ফোরামে বিষয়টিতে আলোকপাত করবেন এবং নিয়ম পরিবর্তনের চেষ্টা করবেন বলে জানান।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post