নিজস্ব প্রতিবেদন, ব্যারাকপুর :- পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি-সহ ১২ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলো দুদিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। ধর্মঘটের প্রথম দিনে সোমবার ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ধর্মঘটের তেমন প্রভাব পড়ল না। শিল্পাঞ্চলের সমস্ত জুটমিলগুলো এদিন খোলা ছিল। বাজার, দোকানপাট, স্কুল-কলেজ সবই খোলা ছিল। ফেরি সার্ভিস এদিন সচল ছিল। তবে সকাল সাতটা নাগাদ ঘোষপাড়া রোডের শ্যামনগর চৌরঙ্গী মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বসে পড়েন ধর্মঘটিরা। নোয়াপাড়া ও জগদ্দল থানার পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।
আরো পড়ুন পুরমাতার স্বামীকে পিস্তলের বাট দিয়ে মাথায় আঘাত করার অভিযোগ দুষ্কৃতীদেরর বিরুদ্ধে
এরপর ধর্মঘটিরা শ্যামনগর স্টেশন সংলগ্ন ২৩ নম্বর রেলগেটে রেল অবরোধ করে। তারা রেললাইনের মাঝে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। অবরোধ শুরু হওয়ার কিছুক্ষন বাদেই জগদ্দল থানার আই সি প্রদীপ কুমার ডানের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে জোর করে অবরোধ তুলে দেয়। ইছাপুর অশোকনগর মোড়ে ঘোষপাড়া রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় ধর্মঘটিরা। নোয়াপাড়া থানার আই সি পার্থ সারথি মজুদারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। জোর করে অবরোধ তুলতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে তীব্র বাকবিতন্ডা বেধে যায়। ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির সামনে এবং ইছাপুর বাদমতলা মোড়ে এদিন পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় ধর্মঘটিরা।
আরো পড়ুন Consumer Forum: রাজ্যে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মেলার খরচ শুনলে চোখ কপালে উঠবে
এদিকে বনধের সমর্থনে ব্যারাকপুরে মিছিল করে সিপিআইএম। বেলঘড়িয়া ফিডার রোডে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বনধ সমর্থকরা। বেলঘড়িয়া স্টেশনে রেল অবরোধ করতে ধর্মঘটিরা জমায়েত হয়েছিলেন। বেলঘড়িয়া থানায় বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে অবরোধকারীদের জোর করে হটিয়ে দেয়। ফলে দুপক্ষের মধ্যে বচসা থেকে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। তবে শিল্পাঞ্চলে ধর্মঘট সফল বলে দাবি করেছেন সিটু নেত্রী গার্গী চট্টোপাধ্যায়। তার অভিযোগ, জুটমিলগুলোতে রাতের শিফটের শ্রমিকদের আটকে রেখে মিল চালানো হয়েছে।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post