কল্যাণ দত্ত, পূর্ব বর্ধমান:- বিভিন্ন কারনে আইসিডিএস কর্মী ও সহায়িকাদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে বারবার। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এইরকমই ছবি দেখা বা শোনা যায় বহুবার। তবে এবার দেখা গেল সম্পূর্ণ উল্টো ছবি। আইসিডিএস কর্মীর সচেতনতায় বিষক্রিয়ার হাত থেকে রক্ষা পেল একটি দু বছরের শিশু।
প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার শিশু ও শিশুর মায়েদের খাবার দেওয়ার আগে সেই খাবার এবং খাবার নিতে আসা টিফিন বক্স পরীক্ষা করছিলেন, পূর্ব বর্ধমান জেলার,খণ্ডঘোষ ব্লকের, আড়িন শিশু আলোয়ের কর্মী চৈতালী দাস। টিফিন বক্স পরীক্ষা করতে গিয়েই চক্ষু স্থির! শিশু আলয়ের কর্মী চৈতালী দাস তিনি দেখেন, একটি দু বছরের শিশুর জন্য খাবার নিতে আসা টিফিন বক্সে পড়ে আছে বিভিন্ন পোকা মাকড়, এমনকি পড়ে আছে টিকটিকির পায়খানা ও আরশোলার পায়খানা,
যেটা থেকে অনায়াসে বিষক্রিয়া হতে পারতো ঐ শিশুটির।
ঘটনার প্রসঙ্গে উপস্থিত বেশ কিছু অভিভাবকরা বলেন এই ঘটনা চোখের সামনে আসতেই সকলকে দেখানোর পাশাপাশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন শিশু আলয়ের কর্মীরা, নাহলে হয়তো বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করতো আইসিডিএস কর্মী ও সহায়িকার দায়িত্ববোধের উপর। গত কয়েকদিন আগে খন্ডঘোষ ব্লকের একটি আইসিডিএস কেন্দ্রের খাবারে টিকটিকি বের হওয়ার অভিযোগ ওঠে। তবে সচেতন থাকার জন্য তার পুনরাবৃত্তি আর হতে দেননি আইসিডিএস কর্মী চৈতালী দাস। তিনি সমস্ত মায়েদের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সমস্ত আইসিডিএস কর্মী ও সহায়িকাদের সচেতন হওয়ার কথা বলেন।
চৈতালী দাস জানিয়েছেন, আমরা সদা সর্বদা সচেতন থাকি যাতে করে কোনোরকম কর্তব্যর গাফিলতি না হয়। মঙ্গলবার প্রতিদিনের মতো খাবার চেক করার পাশাপাশি খাবার নিতে আসা মায়েদের ও শিশুদের টিফিন বক্স চেক করতে গিয়ে দেখা দেখি একটি শিশুর টিফিন বক্স এ টিকটিকি ও আরশোলার মল। সাথে সাথে ওই শিশুর অবিভাবকের সাথে সাথে আরও অন্যান্য শিশুদের অভিভাবক-কে দেখাই, এবং সকলকে সচেতন থাকতে বলি।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post