দেবশ্রী মুখার্জী : ঘরে বসে অনলাইন শপিং এর প্রবনতা মানুষের মধ্যে যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি কিছু ক্ষেত্রে অর্ডার ডেলিভারি পাওয়ার পরে প্রাপ্ত প্রোডাক্টের গুণগত মান নিয়ে অভিযোগও উঠে এসেছে বারবার ৷ এমনটা আবারও ঘটলো দৈনন্দিন ব্যবহারের সরঞ্জাম নিম্নমানের অব্যবহারযোগ্য অনলাইনে ক্রেতাকে সরবরাহ করায় ক্রেতা সুরক্ষা আদালত হুগলির কোপে পরল ‘নাপ টোল অনলাইন শপিং প্রাইভেট লিমিটেড’৷
চাঁপাদানির বাসিন্দা প্রদীপ পান্ডে 10/7/2020 তারিখে ‘কিচেন কুইন স্টিল সেট ‘ ( ৪৩ পিস) অর্ডার করেন টিভি দেখে ‘নাপটোল অনলাইন শপিং প্রাইভেট ‘ নামক কোম্পানিতে। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ বিল দেওয়ার পর অর্ডার অনুযায়ী ডেলিভারি হওয়া প্রোডাক্ট ৪৩ পিসের সেট এর জায়গায় আসে ২৩ পিসের সেট ও তার গুণগতমান থাকে খুবই নিম্নমানের ৷এরপর ক্রেতা কাস্টমার কেয়ারে ফোন করেন ও লিখিতভাবে কোম্পানিতে সে কথা জানান কিন্তু তাতে কোন সুরাহা না হওয়ায় তিনি ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন ৷প্রায় দুই বছর মামলার পর অবশেষে মহামান্য বিচারপতি দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত দিক বিচার বিবেচনা করে প্রদীপ বাবুর পক্ষে রায় দেন ও কোর্ট ক্ষতিপূরণের অর্ডার করে ৷
অভিযোগকারী প্রদীপ পান্ডের এই জয়ে বিশেষভাবে তাকে সহযোগিতা করে তার আইনজীবী উজ্জ্বল চক্রবর্তী ৷ উক্ত ঘটনা নিয়ে পেশায় আইনজীবী প্রদীপ পান্ডে ও আইনজীবী উজ্জ্বল চক্রবর্তী জানান অনলাইনে কেনাকাটা করে সাধারণ মানুষের অনেকাংশই প্রতিনিয়ত ঠকছে ৷এই প্রতারণার যারা শিকার হচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতারিত হওয়া ব্যক্তি উপযুক্ত নথি নিয়ে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে অভিযোগ করলে ন্যায় পাওয়া সম্ভব৷

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post