নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান:- পূর্ব বর্ধমান জেলার সরাইটিকর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আমার বীরপুর এলাকার এক নাবালিকার বিয়ে আটকালো বর্ধমান থানার পুলিশ এবং চাইল্ড লাইন। জানা যায়, এই নাবালিকা প্রেমের সম্পর্ক ছিল পাশের গ্রামের একটি নাবালকের সাথে। দীর্ঘদিন ধরে এই বাড়িতে এই নিয়ে চলছিল অশান্তি। পরিবারের সদস্যদের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দুজনার বিয়ে দেওয়ার। কিন্তু পাত্রী এখনো নাবালিকা তার ১৮ বছর বয়স হয়নি এখনো। এই বিয়ের খবর গিয়ে পৌঁছায় চাইল্ড লাইনের কাছে। তারা বর্ধমান থানার সহযোগিতায় এই নাবালিকার বিবাহ বন্ধ করেন বৃহস্পতিবার ৯ই মার্চ। বিয়ের সব রকম ব্যবস্থা করে ফেলেছিল নাবালিকার পরিবার।
বর্ধমান চাইল্ড লাইনের সদস্য মালতি মুর্মু বলেন, আমরা খবর পাই এখানে নাবালিকার বিবাহ ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা বর্ধমান থানায় ডায়েরি করি এবং বর্ধমান থানার সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার এই বিবাহ বন্ধ করা গেল। মানুষ যতক্ষণ না সচেতন হবে ততক্ষণ এইরকম নাবালিকার বিবাহ বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষ করে গরিব মানুষকে বাড়িতে নাবালিকাদের বিবাহ দেওয়ার প্রবণতা বেশি। ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির রিটার্ন এডভোকেট কৈলাস দত্ত বলেন, সূত্র মারফত আমরা খবর পাই এই আমার বীরপুর এলাকায় নাবালিকার বিবাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বর্ধমান থানার পুলিশের সহযোগিতায় আমরা এখানে উপস্থিত হই এবং দুই পরিবারের সদস্যদের সাথে আমরা কথা বলি কারণ দুজনাই নাবালক। কথা বলি আমরা নাবালিকার সাথে এবং সে বলে ১৮ বছর বয়স না হলে সে বিয়ে করবে না এবং সে পড়াশোনা করতে চায়। পাশাপাশি আমরা এলাকায় প্রচার করলাম ১৮ বছর বয়স না হলে বিয়ে না দেওয়ার জন্য। একটা বিবাহ আনন্দ অনুষ্ঠানে সব রকম ব্যবস্থা করার পর এইরকম বিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া এটা যেন আগামী দিনে না হয়।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post