কল্যাণ দত্ত, পূর্ব বর্ধমান : স্ত্রীর কালো তাই তার ওপর শারীরিক অত্যাচার ও গঞ্জনা আর তারপরই রহস্যজনক ভাবে পূর্ব বর্ধমান জেলার, কালনার পূর্বস্থলীর ব্লকের, বড় ধামাস এলাকায় ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দেহ উদ্ধার করে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় । ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করে কালনা আদালতে পাঠায় পূর্বস্থলী থানার পুলিশ।
আরো পড়ুন Summer Vacation: স্কুল-কলেজগুলিতে গরমের ছুটি ঘোষণা মমতার
আরো পড়ুন Weather Update: আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আরও পুড়বে বাংলা, সোমবার বৃষ্টির সম্ভাবনা!
তিন বছর আগে নিজের ছবি এডিট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন হুগলীর ভদ্রেশ্বর থানা এলাকার NS রোড ক্ষুদিরাম পল্লীর বাসিন্দা সরজনী ঘোষ, সেই ছবি দেখে প্রেমে পড়ে যায় কালনার পূর্বস্থলীর মাজিদা পঞ্চায়েতের বড় ধামাস গ্রামের দেবার্গ ঘোষ । দুই জন বাড়ির অমতেই পালিয়ে বিয়েও করে নেয়। এক বছর সবকিছু ঠিক থাক চললেও সংসারের ছন্দ পতন হয় বধূর গায়ের রং কালো বলে। শুরু হয় শশুর বাড়ির লোকেদের গঞ্জনা, চলে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার।
হঠাৎ নিজের শশুর বাড়ি থেকে বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
মৃতের বাপের বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নানা রকমভাবে অত্যাচার চালাত পরিবারের লোকেরা, মারধর করত. এমনকি ফেসবুকে দেখে পরিচয় হওয়ার পর বিয়ের পর থেকেই কালো বলে গঞ্জনা দিত তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা, তাঁর স্বামী তাঁর স্ত্রী কে এমনও বলত ফেসবুকের ছবি দেখে সে প্রথমে তাঁকে এত কালো বুঝতে পারিনি, এমনকি তার স্বামীর অন্য জায়গায় সম্পর্কও ছিল বলে মত গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজনের।। ঘটনার পূর্বস্থলী থানার পুলিশ স্বামী দেবার্ঘ ঘোষ ও শ্বশুর বাবলু ঘোষকে গ্রেপ্তার করে কালনা আদালতে পাঠায়। পুরো ঘটনার তদন্তে পুলিশ।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post