আমজাদ আলী, মালদা: হাসপাতালের আউট ডোরে থিক থিক করছে রোগীর ভীর। দু’ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছেন রোগীরা।সময় মতো আউটডোরে নেই চিকিৎসক, হাসপাতাল চত্বরেই ব্যক্তিগত চেম্বারে ব্যস্ত তিনি। এমনটাই চিত্র ধরা পড়েছে শনিবার হরিশ্চন্দ্রপুর দু নম্বর ব্লকের ভালুকা বাজার প্রাথমিক স্বাস্থ্য-কেন্দ্রের আউটডোরে। একটি মাত্র চিকিৎসক নিয়ে চলছে ভালুকা প্রাইমারি হেলথ সেন্টার নাজেহাল রোগীরা। ঠিক সময় মত আসছেন না চিকিৎসক। অথচ এই প্রাইমারি হেলথ সেন্টারের ওপরে নির্ভরশীল এবং আশে-পাশের গ্রাম পঞ্চায়েত গুলি।
জানা গেছে এই হাসপাতালে দুই জন মেডিকেল অফিসার দায়িত্বে ছিলেন। তারা দুজনেই ছুটিতে। সেই জায়গায় এসেছেন চিকিৎসক আই ফারানা ইয়াসমিন। এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য-কেন্দ্রের একমাত্র চিকিৎসক তিনি। কিন্তু তিনিও হাসপাতালে আউটডোর ছেড়ে নিজের প্রাইভেট চেম্বার করতেই ব্যস্ত বলে অভিযোগ রোগীদের। হাসপাতালের আউটডোর সময় মতো খুললেও দেখা মেলে না চিকিৎসক ফারহানা ইয়াসমিনের। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় মুমূর্ষ রোগীদের। এই বিষয়ে হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি বলে রোগীদের অভিযোগ। এটাই নাকি প্রতিদিনের ঘটনা। যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন চিকিৎসক ফারানা ইয়াসমিন। তার দাবি তিনি এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একমাত্র চিকিৎসক। আউটডোর ছাড়া অন্যান্য সেকশন তাকে দেখতে হয়। তাই খানিক ক্ষণের জন্য তিনি এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে গিয়েছিলেন এবং রোগীদের বসতে বলেছিলেন।
ফতেপুর থেকে আসা এক রোগী আক্তারুল ইসলাম বলেন আমার দীর্ঘদিন হলো এক্সিডেন্টে হাত এবং পা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি ডাক্তার দেখানোর জন্য আজকে ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসেছিলাম কিন্তু দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরও চিকিৎসকের দেখা মেলেনি। শুনতে পেলাম উনি নিজের চেম্বারে রোগী দেখতে ব্যস্ত রয়েছেন। এদিকে ঘন্টার পর ঘন্টা রোগীরা আউটডোরে অপেক্ষা করো চিকিৎসক না পেয়ে রীতিমতো বিক্ষোভ প্রদর্শনও করেন।এই ঘটনার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post