নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুর :- বাড়ির কাছেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হলেন উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর শিপ্রা মজুমদারের স্বামী গোপাল মজুমদার। শনিবার রাত ৯-১৫ নাগাদ দলীয় কার্যালয় থেকে ইছাপুর মজুমদার পাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে পায়ে হেঁটে ফিরছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। বাড়ি থেকে মাত্র ২০ হাত দূরে রাস্তায় একা পেয়ে দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় গোপাল বাবুর ওপর।
আরো পড়ুন ফের বজবজের মহেশতলায় (Maheshtala) দুর্ঘটনা
খুব কাছ থেকে তাঁর মাথায় গুলি চালিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ইছাপুরে। তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নোয়াপাড়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক ও বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী ঘটনাস্থলে যান। তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, বাড়ির সামনে একজন নিরীহ ভদ্র লোককে খুন করা হল। কয়েকদিন আগে বিজেপি নেতা বিজয় মুখার্জির সঙ্গে ওনার কথা কাটাকাটি হয়।
আরো পড়ুন ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিযুক্ত পলাতকদের খোঁজ দিলে মাথা প্রতি ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার
তার ফলস্বরূপ ওনাকে খুন হতে হল। যদিও বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এই ঘটনা। তাছাড়া তোলাবাজির ভাগবাটোয়া এবং রাইফেল ও মেটাল ফ্যাক্টরির ঠিকাদারি নিয়ে ওদের গোষ্ঠী কাজিয়া তুঙ্গে। সাংসদের দাবি, ওই ঘটনায় একজন নিরীহ মানুষকে পুলিশ বাড়ি থেকে তুলে এনেছে। নোয়াপাড়া থানার পুলিশ রাতেই স্থানীয় বিজেপি নেতা বিজয় মুখার্জিকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের বিরুদ্ধে পুলিশ ৩০২/৩৪/১২০বি এবং ২৫/২৭ অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছে।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post