নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান:- চার বছরের ছোট্ট শিশুটি এখনো জানেনা তার মা না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছে । এদিকে অপর শিশুটির বয়স তিন মাস। পাড়া-প্রতিবেশীদের কোলে চেপে মায়ের পরশ না পেয়ে অনবরত কেঁদেই চলেছে শিশুটি। এই একরত্তি দুটো শিশুর মাকে সোমবার বাবাই নিজের হাতে খুন করেছে! ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার,মেমারি থানার অন্তর্গত দুর্গাপুর অঞ্চলের সোনোরা গ্রামে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় সোমবার রাত ৮:৩০ নাগাদ শিশু দুটির বাবা লক্ষীরাম হেমরম একটি ধারালো কাস্তে দিয়ে তার স্ত্রী অনিমা টুডুর গলার নলি কেটে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে । অনিমার চিৎকারে তার মা বাবা ও প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে দুজনকেই তড়িঘড়ি মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অনিমা টুডুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন এবং লক্ষীরাম হেমরমএর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বর্ধমান জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
বিয়ের পর থেকেই স্বামী- স্ত্রীর অশান্তিতে অনিমা তার বাপের বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করে । লক্ষীরাম মাঝে মাঝে দাদপুর থানার আগ্রা পাড়া থেকে এসে শ্বশুর বাড়িতে থাকতো । অন্যান্য দিনের মতো এদিনও খাওয়া-দাওয়া করে স্বামী স্ত্রী নিজের ঘরে গিয়ে অশান্তি করে বলেই স্থানীয় সূত্রের খবর। এরপর ঘর থেকে মেয়ের আত্মচিৎকারে বাবা ছুটে এবং ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে দেখে মেয়ে ও জামাই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে । এমন আকস্মিক ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post