নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান:- দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে জন্ম দেওয়া সন্তানদের অত্যাচারে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন ৮০ বছরের এক বৃদ্ধা। অত্যাচারিতা লক্ষ্মী বালা সরকারের বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার,কালনার পূর্বস্থলী থানার মাজিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের চর চুয়াডাঙ্গা গ্রামে। বৃদ্ধার ছয় ছেলে এবং দুই মেয়ে বর্তমান। বৃদ্ধার অভিযোগ, সন্তানদের কয়েকজন অসৎ উপায় অবলম্বন করে তার জমি জায়গা নিজেদের নামে দলিল করে নিয়েছে। তারপরেই বৃদ্ধাকে তার স্বামীর ঘর থেকে বিতাড়িত করে। আর সেই থেকেই এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করে শেষ পর্যন্ত স্বামীর বাড়ি থেকে দূরে থাকা এক সন্তানের কাছে তার আশ্রয় হয়েছে। দীর্ঘ ১২ বছর আগে ভিন রাজ্যে বিয়ে হয়ে যাওয়া ২ কন্যা মায়ের করুন অবস্থার কথা জানতে পারেন।
তারা ভিন রাজ্য থেকে এসে মায়ের উপর হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে, তারাও লাঞ্ছিত হন বলে অভিযোগ। ভিন রাজ্যে বিয়ে হয়ে যাওয়া দুই কন্যা সন্ধ্যা মজুমদার ও শ্রীলেখা সরকার শর্মা মাকে নিয়ে বিচার পেতে কালনা মহাকুমা পুলিশ অফিসারকে লিখিত অভিযোগ জানান। পাশাপাশি তারা কালনা আদালতেও একটি মামলা করেছেন। তাদের আইনজীবী সিদ্ধার্থ শংকর মন্ডল বলেন, ঘটনাটি খুবই বেদনাদায়ক। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব বৃদ্ধাকে সঠিক বিচার পাইয়ে দেওয়ার। অন্যদিকে বৃদ্ধার অভিযুক্ত বড় ছেলে গৌরাঙ্গ সরকার জানান, মায়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য। আমরা কেউ মাকে অত্যাচার করে তাড়িয়ে দিইনি। আর ভাই-বোনেরা যে যার পৈতৃক সম্পত্তির হকদার, তাদেরও আমরা সম্পত্তির ভাগ দিতে রাজি আছি। তবে এই ব্যাপারে কোন সরকারি আধিকারিকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post