মনোজ কুমার বর্মন: তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন অনেক আগেই কিন্তু সেরকমভাবে পাননি কোন দায়িত্ব। শেষমেষ ভাগ্যের শিকে ছিড়ল একসময়ের তৃণমূল কংগ্রেসের বিশ্বস্ত সৈনিক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়া সঙ্গী সোনালি গুহর। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগেই টিকিট না পাওয়ায় একরাশ অভিমান নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়েছিলেন তিনি। এবার রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার কর্ম সমিতির সদস্যপদ পেলেন সোনালি গুহ। গত কয়েক মাস ধরেই বিজেপিতে পুনরায় যোগদান করা নিয়ে রাজ্য রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন এই দুঁদে রাজনীতিবিদ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাতগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পরপর চারবারের বিধায়ক হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তার পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেস তাকে টিকিট দেয়নি পরিবর্তে মোহন চন্দ্র নষ্কর কে প্রার্থী করে।
বিজেপিতে পুনরায় সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করবেন বলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন বলে সূত্রের খবর। সম্প্রতি ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের সভামঞ্চে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাকে। সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিষেক ব্যানার্জি সম্পর্কে বার বার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন সোনালী গুহ। দীর্ঘ দুই বছরের লম্বা রাজনৈতিক বিরতির পর এবার পাকাপাকি ভাবে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার কর্ম সমিতির সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র জানান, ‘উনি অনেকদিন ধরেই কাজ করতে চাইছিলেন।
ওনাকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় সেটা বিবেচনা করে দেখা হবে।’ আপাতত ওনাকে নিজের এলাকাতেই সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওনাকে ডেপুটি স্পিকার হিসাবে মনোনীত করেছিলেন। কিন্তু ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে পরিস্থিতির অনেকটাই বদল হয়। এবার বিজেপিতে যোগদানের পর গেরুয়া শিবিরে কতটা পদ্ম ফুল ফোটাতে পারেন সেদিকেই তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post