আমজাদ আলী, মালদা: জীবন দিয়ে ভালোবাসার বিসর্জন দিলেন প্রেমিক। এরই নামকি ভালোবাসা?তবে প্রেমিকের প্রেম বিসর্জনে দায়ী কারা, প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ। বাড়ির শোওয়ার ঘর থেকে প্রেমিক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মালদহের চাঁচল থানার নয়নপুর-গৌরীপুর এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃত ওই যুবকের নাম বাসুদেব মহলদার(২০)। পেশায় ট্রাক্টর চালক।
পুলিশ জানায় দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কি কারনে ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এলাকায়। ওই যুবকের পরিবারের দাবি, এলাকার এক কিশোরীর সঙ্গে ওই যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিশোরীর পরিবারের তরফে সম্পর্ক মানেননি।কিশোরী ও যুবক লুকিয়ে বিয়ে করার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। মেয়ের তরফে খোঁজাখুজি শুরু হয়। পরে এলাকার একটি গ্রাম থেকে সন্ধ্যা নাগাদ তাদের ধরে ফেলে মেয়ের বাড়ির লোকজনেরা। মেয়ে নাবালিকা, প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ির মেয়েকে তুলে নিয়ে এসেছে ছেলে। এই অভিযোগ তুলে যুবককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, মেয়ের গ্রামে একটি সালিশি সভা ঢাকা হয়। সেখানে যুবককে দায়ী করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ। যুবকের পরিবার সালিশি সভায় জরিমানার বড় অঙ্কের টাকাও দিয়ে দেয় বলে দাবি।
তারপরে সালিশি সভা থেকে রাতেই যুবককে নিজের বাড়িতে আনেন তার বাবা। যুবকের বাবার দাবি, ছেলেকে মারধর এবং সালিশি সভায় জরিমানা করার জন্যই বাড়ির ছেলে শোওয়ার ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। মৃত যুবকের বাবা দিলীপ মহলদার অভিযোগ করে বলেন, মেয়ের পরিবারের অত্যাচারেই ছেলে আত্মঘাতী হয়েছে। তাদের শাস্তির দাবিতে থানায় অভিযোগ করব।
পুলিশকে সক্রিয় হওয়ার দাবি জানাচ্ছেন বুদ্ধিজীবি মহল। চাঁচলের এক আইনজীবী সুবেশ মিত্র বলেন, আইন ও বিচার ব্যবস্থা অনেক উন্নত। গ্রামের মোড়ল মাতব্বরা সালিশিসভা করে টাকা ভাগাভাগি করে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। নিখরচায় যেকোনো মানুষ লোকআদালতে বিচার নিতে পারেন। গ্রামের মাতব্বর মোড়লদের জন্য আদালতে না এসে গ্রামে সালিশিসভা বসাচ্ছে। এতে কোনো সুরাহা না হয়ে মানুষের প্রান যাচ্ছে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post