নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুর :– নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ইডির নজরে শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম। নৈহাটির ৭-ডি বিজয়নগর জেলেপাড়া এলাকার বাসিন্দা শ্বেতা চক্রবর্তী। কামারহাটি পুরসভার সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের পাশাপাশি সে মডেলিংও করতো। যদিও আগে হুগলী জেলার একাধিক পঞ্চায়েতে স্কিল টেকনিক্যাল পার্সন পদে কাজ করতেন শ্বেতা। সেই কাজের সূত্রে শ্বেতার সঙ্গে পরিচয় হয় অয়নের। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, অয়ন তাঁর বান্ধবীকে বহুমূল্যের হন্ডাসিটি গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন। এমনকি অয়নের ব্যাংক একাউন্ট থেকে শ্বেতার একাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেনের হদিস মিলেছে বলে সূত্রে খবর। তবে পাড়ায় বেড়ে ওঠা ছোট্ট মেয়েটির নাম নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ায় হতবাক নৈহাটির জেলেপাড়ার বাসিন্দারা।
শ্বেতা যদি অন্যায় করে থাকে তাহলে ওর শাস্তি হওয়া উচিত, দাবি পড়শিদের। এই বিষয়ে বিজেপির ব্যারাকপুর সংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ ব্যানার্জি বলেন, তৃণমূল দলটাই আপাদমস্তক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে। প্রতিদিন নতুন নতুন নাম উঠে আসছে। তদন্ত শেষমেশ কোথায় দাঁড়ায়, সেটাই এখন দেখার। এদিকে কামারহাটিতে খোঁজ মিলেছে অয়ন-শ্বেতার ফ্ল্যাটের। কামারহাটি পুরসভার উল্টোদিকে ‘জগন্নাথ নিকেতন’ আবাসনের চারতলায় রয়েছে অয়ন-শ্বেতার বহু দামী ফ্ল্যাট। স্থানীয়দের দাবি, মামা-ভাগ্নির পরিচয় দিয়ে তারা ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। শ্বেতা মাঝে মধ্যে ওই ফ্ল্যাটে আসতেন। কিন্তু গত একবছর ধরে অয়ন ওই ফ্ল্যাটে আসেননি। আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী শঙ্কর জানার দাবি, এক সপ্তাহ আগে একদিন সন্ধেতে শ্বেতা গাড়িতে চেপে ফ্ল্যাটে এসেছিলেন। তারপর কেউই আর ওই ফ্ল্যাট আসেন নি। তবে নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় ওই ফ্ল্যাট কেনা হয়েছিল কিনা, তা তদন্ত করে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post