নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুর :- পঞ্চায়েতে সার্ভে কাজ পাইয়ে দেবার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জগদ্দল বিধানসভার অন্তর্গত কাউগাছি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান চৈতালি কর্মকারের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী, শ্যামনগর দোলতলা মাঠ এলাকার বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী শ্রীমতি দে। কাউগাছি-১ তৃণমূল সভাপতি স্বপন মন্ডলের পরামর্শ অনুযায়ী গত ২৭ মার্চ বাসুদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিত ওই মহিলা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জগদ্দলের কাউগাছিতে পঞ্চায়েত প্রধান চৈতালি কর্মকার ও কাউগাছি-১ তৃণমূল সভাপতি স্বপন মন্ডলের কাজিয়া চরমে।
যদিও পঞ্চায়েত প্রধান চৈতালি কর্মকারের অভিযোগ, দু-তিন মাস আগে স্বপন মন্ডল একটা পুকুর ভরাট করছিলেন। সেই অবৈধ কাজে তিনি বাঁধা দেন। তাই স্বপন মন্ডল শ্রীমতি দে নামক ওই মহিলাকে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে চাকুরী পাইয়ে ফেবার অভিযোগ খাড়া করেছেন। এমনকী চৈতালি দেবী দাবি করেছেন, শ্রীমতি দে নাকি বিজেপি করেন। শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে প্রধানের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন কাউগাছি-১ তৃণমূল সভাপতি স্বপন মন্ডল। উক্ত বৈঠকে হাজির ছিলেন প্রতারিত তৃণমূল কর্মী শ্রীমতি দে। পুকুরের মালিক বেবী দাসকে পাশে বসিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খন্ডন করে স্বপন মন্ডল। তার কথায়, ওটা পুকুর নয়। ওটা দু-কাঠা আয়তনের ডোবা। কিন্ত ওই ডোবার মালিক বেবী দাস ভদ্রকে অন্ধকারে রেখে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ওই ডোবায় ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছিল।
অপরদিকে তৃণমূল কর্মী শ্রীমতি দে-র দাবি, পঞ্চায়েতে কাজ দেবার নাম করে প্রধান তাঁর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। কাজ না হওয়ায় প্রধানের কাছে তিনি টাকা চেয়েছিলেন। টাকা চাওয়াতে প্রধান ক্ষেপে গিয়ে তাকে বিজেপির তকমা লাগিয়ে দিয়েছেন। এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির ব্যারাকপুর জেলার সম্পাদক পল্লব কান্তি দাস বলেন, অভিযোগকারী মহিলা শ্রীমতি দে বিজেপির কেউ নন। দলের কোনও কার্যক্রমে ওই মহিলাকে দেখা যায়নি। তবে ওনি তৃণমূল করেন এটা জানি।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post