আমজাদ আলী, মালদা: তৃণমূল থেকে সদ্য কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নেতার প্রকাশ্য মঞ্চে নর্তকির সঙ্গে চটুল নাচের ভিডিও ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে। কোন ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে হিন্দি গানের নর্তকীর সঙ্গে কোমর দুলিয়ে নাচছেন তিনি আবার কোন ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে নাচতে নাচতে টাকা উড়াচ্ছেন তিনি। আবার সেই মঞ্চেই বসে গানের তালে তালে হাততালি দিচ্ছেন তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য। এমনকি সেই ভিডিও দলবদলু নেতা পোস্ট করেছেন নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে। আর যে ভিডিওগুলি সামনে আসতেই শোরগোল করে গেছে রাজনৈতিক মহলে। এই ধরনের রুচির মানুষ তৃণমূলে থাকতে পারে না তাই কংগ্রেসে গেছে। দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।তৃণমূলের মুখে সংস্কৃতির কথা মানায় না পাল্টা কংগ্রেস।তৃণমূল এবং কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ বিজেপির।শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
দেখুন সেই ভাইরাল ভিডিও
প্রসঙ্গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাঁচল ১ নং ব্লক কংগ্রেসের দলীয় কার্য্যালয়ে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন। দুর্নীতি নিয়ে দলের বিরুদ্ধে একরাশ খুব উগড়ে দিয়ে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। তারপরেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে আলী হোসেনের চটুল নাচের ভিডিও।যা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি অমিতেশ পান্ডে বলেন, আমাদের দল রুচিশীল সংস্কৃতিমনস্ক ব্যক্তিদের দল। উনার এই সমস্ত কান্ড কারখানার জন্য দল উনার সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছিল। তারপরেই উনি কংগ্রেসে যোগ দিলেন।’
যদিও আলী হোসেনের সাফাই ওই অনুষ্ঠান তার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন কংগ্রেসের যোগ দিয়েছি তাই তৃণমূল এইসব সামনে এনে বদনাম করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ওই চটুল নাচের মঞ্চতে চেয়ারে বসে হাততালি দিচ্ছেন তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য সামিউল ইসলাম। নর্তকী এবং আলী হোসেনের নাচ উপভোগ করছেন তিনি। যদিও সামিউল ইসলাম জানিয়েছেন, নিমন্ত্রণ ছিল বলে গেছিলাম। এক মিনিটের মধ্যে সেই মঞ্চ থেকে বেরিয়ে গেছিলাম।
অন্যদিকে ব্লক কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কাজী আতাউর রহমান বলেন, এই ভিডিও উনার তৃণমূলে থাকাকালীন। এতদিন তৃণমূল এই নিয়ে কিছু বলেনি। এখন সেটাকে সামনে এনে রাজনীতি করছে। বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর কটাক্ষ, তৃণমূল এবং কংগ্রেস মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। এটাই এদের সংস্কৃতি।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post