সুরশ্রী রায় চৌধুরী: রাজ্যে চার বিধানসভার উপনির্বাচনের আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়া সফর রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিধানসভা ভোটে বিপুল জয়ের পর বিজেপিকে কোণঠাসা করার জন্য তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজেকে জাতীয় স্তরে পৌঁছুতে চাইছেন বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
আরো পড়ুন কালীপুজোয় শর্তসাপেক্ষে বাজি পোড়ানোর অনুমতি দিল পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ
রাজ্যে যে চারটি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে, তার দু’টিতে বিজেপির দুই সাংসদ জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন। তাঁরা বিধায়ক পদ ছেড়েছেন। আর তাঁদের ধরেই বিজেপি সেই সময় সাতাত্তরটি আসনে জিতেছিল। তবে এই নির্বাচনে বিজেপি র চারের মধ্যে অন্তত দু’টিতে জেতা এখন রীতিমত চ্যালেঞ্জ। আর এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে অ-বঙ্গভাষী বিভিন্ন রাজ্যে দ্রুত পৌঁছে যাওয়ার জন্য তৃণমূল নেতৃত্বের তৎপরতা। পাশের বাঙালি রাজ্য ত্রিপুরায় তৃণমূল আগে লড়েছে। মথুরাতেও এক বার স্থানীয় কোনও প্রভাবশালীকে প্রার্থী করে একটি আসন জিতেছিল মমতার দল। তবে তার প্রচার সেই ভাবে হয় নি।
আরো পড়ুন উত্তরপ্রদেশ কে পাখির চোখ করে, ছট পুজোর পরেই উত্তরপ্রদেশ যাচ্ছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়
অভিষেকের ঘোষণা অনুযায়ী, গোয়া, ত্রিপুরার মতো উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম প্রভৃতি রাজ্যেও তাঁরা সংগঠন গড়তে যাবেন। কয়েকটি রাজ্যে তৃণমূল তাদের রাজনৈতিক উপস্থিতির ছাপ রাখতে পারলেও তার প্রভাব সুদূরপ্রসারী হবে। সুস্মিতার তৃণমূলে যোগদান, গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজ়িনহো ফেলেইরো, উত্তরপ্রদেশে কমলাপতি ত্রিপাঠীর পরিবারের দুই সদস্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান অত্যন্ত তাৎপর্য। ২০১০ সালে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন করতে শেষ বার গোয়া গিয়েছিলেন মমতা। তৎকালীন কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী অম্বিকা সোনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় উদ্বোধনের দায়িত্ব বর্তায় রেলমন্ত্রীর উপর। জন-আকর্ষণী তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এখন পাখীর চোখ গোয়া।
Discussion about this post