সংবাদদাতা বসিরহাট : পঞ্চায়েত ভোট যত আগেই আসছে টিকিটের জন্য গোষ্ঠী কোন্দল মাথা চাঁড়া দিতে শুরু করেছে পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে । তার মোকাবিলা করতে বাড়িতে বোমা মজুত করতে শুরু করেছিল মিনাখাঁ থানার চাঁপালি পঞ্চায়েতের বকচোরা তৃণমূল কর্মী আবু হোসেন গাইন এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। সেই বোমা ফেটে মারা গেল তার ভাগ্নি তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সোহানা খাতুনের মৃত্যু। আর দুই শিশু চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী রহিমা পারভীন এবং পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া আনিসা খাতুন গুরুত্বর আহত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
আবু হোসেনের বিরুদ্ধে পুলিসর খাতায় বোমা, গুলি ছোঁড়া থেকে শুরু করে গাড়ি জ্বালানো চেষ্টা মেছোভেড়ি লুঠের মত একাধিক অভিযোগ আছে বলে জানা যায়। গত ১৬ সালে আগ্নেআস্ত্র রাখার অভিযোগে একবার গ্রেফতার হয়েছিল বলে জানা যায়। গত কাল সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যে আবুহোসেনকে দেবিতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি বাড়ির সদস্যরা পলাতক তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। আবুল হোসেন গাইনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে মিনাখাঁ থানার পুলিস।এ বিষয়ে বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান বলেন অভিযুক্তকে ধরা হয়েছে। প্রশাসন রঙ এবং দল না দেখে তদন্ত করছে।
এ দিন মিনাখাঁর ওই গ্রামে গেলে দেখা যায় ছোট ছোট জটলা করে মানুষ বোমা বিষ্ফোরনে দুই ছাত্রী গুরুত্বর আহত এবং একজনের মৃত্যু হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে। এখনও মৃত এবং আহতদের টাটকা চাপ চাপ রক্ত পড়ে আছে রান্নাঘরের শিড়ির উপর। ঘটনাস্থলে তিনজন পুলিস এবং দু’জন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে পাহারা দিতে দেখা যায়। বাড়ির মধ্যে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এলাকাবাসীদের কাছে কিছু জানতে চাইলেই জানিনা বলতে পারব না এমনৈ বললেও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে আবুহোসেনের বিরুদ্ধে নির্বাক ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেককেই বলতে শোনা যায় সিপিএমের সময়ে সিপিএম এখন তৃণমূলের সময় তৃণমূল করে সুযোগের সদব্যবহার করে আবু হোসেন। তবে এই ঘটনার পর এলাকাবাসীদের একটাই দেব দোষীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত সাজা দিক প্রশাসন।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post