সুরশ্রী রায় চৌধুরী : dont judge a person you dont know ইংরাজি ভাষার এই প্রচলিত কথাটিই মিলে গেল কর্ণাটকের সেলসম্যানের সাথে। স্থানীয় কৃষকের সাথে খারাপ ব্যবহারের ফল হাথে নাথে পেয়েছেন। কর্ণাটকের রামানাপাল্যা এলাকার বাসিন্দা কেম্পেগৌড়া আর এল। সেখানেই কৃষিকাজ করেন তিনি। কৃষিকাজ করে সঞ্চয় করেছিলেন দামি গাড়ির টাকা। অনেকদিন ধরেই এই স্বপ্ন ছিল কেম্পেগৌড়ার। সেই মতো বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে স্থানীয় গাড়ির শো রুমে গিয়েছিলেন তিনি।
আরো পড়ুন ফের কলকাতার বুকে খোঁজ মিলল পর্ন চক্রের
অভিযোগ, কেম্পেগৌড়ার সাধারণ পোশাক দেখে তাঁকে অত্যন্ত অপমান করেন গাড়ির সেলসম্যান। সেলসম্যান দাবি করেন, সারা জীবনেও কেম্পেগৌড়ার মতো মানুষ SUV গাড়ি কিনে উঠতে পারবেন না। সেলসম্যানের কথা শুনে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন কেম্পেগৌড়া এবং তাঁর বন্ধুরা। সঙ্গে সঙ্গে সেলসম্যানকে চ্যালেঞ্জ করেন, সে যেন গাড়ির সমস্ত কাগজপত্র রেডি করে রাখে। সেদিনই তিনি নগদ টাকা নিয়ে এসে গাড়ির ডেলিভারি নেবেন। যেমনি কথা, তেমনি কাজ। ৩০ মিনিটের মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে শো রুমে হাজির হন কর্ণাটকের কৃষক।
আরো পড়ুন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি থেমে গেলেও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা
কেম্পেগৌড়া যে এত তাড়াতাড়ি ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে চলে আসবেন তা ভেবে উঠতে পারেননি সেলসম্যান। হতবাক হয়ে যান তিনি। কীভাবে তাঁর পোশাক দেখে তাঁকে অপমান করার সাহস পান ওই সেলসম্যান? প্রশ্ন তোলেন কেম্পেগৌড়া। কোনও উত্তর দিতে পারেননি সেলসম্যান। ওই সময়ের মধ্যে গাড়ির ডেলিভারিও তিনি দিতে পারেননি। বিষয়টি স্থানীয় পুলিশকেও জানান কেম্পেগৌড়া এবং তাঁর বন্ধুরা। কর্ণাটকের কৃষক জানান, গাড়িটি কেনার সামর্থ্য থাকলেও তিনি আর কিনবেন না। এমন ব্যবহারের পর ওই শো রুম থেকে তো এক্কেবারেই কিনবেন না।
Discussion about this post