নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে করোনা গ্রাফ ফের উর্ধ্বমুখী। ভোটের সময়ে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে হু হু করে। নির্বাচনের দফা কি কমানো হবে? জল্পনায় জল ঢালল কমিশন। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, কোভিড বিধি মেনে নির্ঘণ্ট অনুযায়ীই ভোট হবে।
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ-র দাপটে গোটা দেশ। পরিস্থিতি রীতিমত উদ্বেগজনক বাংলায়ও। নির্বাচনী প্রচারের জমায়েতে ইতিমধ্যেই রাশ টেনেছে কলকাতা হাইকোর্ট। স্রেফ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাই নয়, এদিন আবার পঞ্চম দফার পর সোমবার আদালতের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে কমিশনকে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, শুধুমাত্র পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে। শনিবার, পঞ্চম দফায় ভোট নেওয়া হবে ৬ জেলার ৪৫ আসনে।
তাহলে ভোট কীভাবে হবে? এদিন সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যের মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিক। বৈঠকে যোগ দেন তৃণমূল, বিজেপি ও সংযুক্ত মোর্চার প্রতিনিধিরা। সূত্রে খবর, কোভিড প্রোটোকল মানতে আপত্তি নেই কারও। তবে প্রচার বন্ধ বা বহর কমানো নিয়ে আপত্তি তুলেছে সবপক্ষই। কেন? রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি যুক্তি, আগের দফাগুলিতে পুরোদমে প্রচারের সুযোগ পেয়েছেন প্রার্থীরা। এখন করোনার জন্য যদি প্রচার কর্মসূচিতে কাটছাঁট করা হয়, তাহলে বাকি দফার প্রার্থীরা গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।
আরও পড়ুন: West Bengal Election 2021: পঞ্চম দফায় তারকা মুখে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপির চেনা মুখ শমীক, পার্নো
জানা গিয়েছে, এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে কোভিড মেনেৃ ভোটের পক্ষেই সওয়াল করে বিজেপি। তৃণমূলের তরফে অবশ্য শেষ ৩ দফায় একসঙ্গে ভোটগ্রহণের দাবি তোলা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন নতুন নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র। কমিশন সূত্রে খবর, সেই বৈঠকেই তিনটি দফা একসঙ্গে না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কারণ, সেক্ষেত্রে সবমিলিয়ে ২৪৬১ কোম্পানি বাহিনী দরকার। এখন রাজ্যে আছে ১০৭১ কোম্পানি বাহিনী। এত অল্প সময়ে বাড়তি বাহিনী নিয়ে আসা সম্ভব নয়। এদিন সর্বদল বৈঠকে ফের তৃণমূলের দাবি খারিজ করে দেয় কমিশন।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post