নিজস্ব প্রতিবেদন: শীতলকুচিতে নিহতদের স্মরণসভায় মমতা। ভোট মিটলেই দোষীদের শাস্তির দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন তিনি। কিন্তু আনন্দ বর্মনের আত্মীয় বলে কাকে মঞ্চে তুললেন? তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
চতুর্থ দফায় ভোটে যেদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জন প্রাণ হারান, তার পরের দিনই শীতলকুচিতে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। তখন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা কারণে কোচবিহার সফর বাতিল হয়ে যায়। নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা শেষ হওয়ার পর এদিন মাথাভাঙায় নিহতদের স্মরণসভা যোগ দিলেন মমতা। কিন্তু তাতেও বিতর্ক পিছু ছাড়ল না!
মঙ্গলবার তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রত্যাখান করেছিলেন শীতলকুচিতে নিহত আনন্দ বর্মনের পরিবারের লোকেরা। বিজেপি জেলা পার্টি অফিসে বসে নিহতের বাবা জগদীশ বর্মন বলেছিলেন, ‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই না। ২-৩ জন ফোন করেছে, আমি না করে দিয়েছি। ২-৩ বলছে টাকার কথা, আমি টাকা নেব না। দিদির কাছ থেকে কিছু নেব না। তৃণমূল সরকারের কিছু নেব না’। তাহলে নিহতের দাদু ও মামা কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন? প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।
বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি পরিবারকে টুকরো টুকরো করার চেষ্টা করছেন। বাবা-মা যা বলছে, সেটাকে মান্যতা দিয়ে, মামা-দাদুকে সঙ্গে নিয়ে দেখাচ্ছে, ওর পরিবার আমার সঙ্গে আছেন। এটা কী রাজনীতি! খুবই নিন্দাজনক’। তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের আবার পাল্টা দাবি,’ বিজেপি নেতারা ঠিক জানেন না, আনন্দ বর্মনের বাবা বহু বছর ধরে এই পরিবারের সঙ্গে থাকেন না। ২০-২৫ বছর আগে বিয়ে করে অন্য জেলায়, অন্যত্র থাকেন তিনি। আনন্দ ছোট থেকে মামার বাড়িতে মানুষ হয়েছেন। তাঁর মামা ও দাদুকে মুখ্যমন্ত্রীর সভা এসে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে’। তাঁর কথায়, ‘যে লোক নিজের ছেলে-বউকে দেখে না, আমাদের কাছে তার কথার কোনও মূল্য নেই’।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post