নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃতীয় দফার ভোটের দিন বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন একজন। হিন্দি ছবির ডায়লগ আউড়ে শীতলকুচিকাণ্ডে সরব হয়েছিলেন আর একজন। শোকজের মুখে পড়েছিলেন দু’জনেই। জবাব সন্তোষজনক নয়, আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল খাঁ (Sujata Mandal Khan) ও বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর (Sayantan Basu) প্রচারে এবার ২৪ ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করল কমিশন। রবিবার সন্ধে ৭টা থেকে সোমবার সন্ধে ৭টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা।
তৃতীয় দফায় ভোট ছিল আরামবাগে। সেদিন এলাকার একটি বুথে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল খাঁ। বাঁশ, চেলা কাঠ হাতে নিয়ে তাঁকে তাড়া করতে দেখা যায় গ্রামবাসীদের। তখনই সুজাতাকে বলতে শোনা যায়, ‘সব শিডিউল কাস্ট ভইখারি এরা। এদের কেবল দাও দাও। আমি বলেছিলাম, মমতাদি এত কিছু দিয়েছেন, তোমরা ভোটটা দেবে না কেন। কথায় বলে না, কেউ অভাবে ভিখারি, আর কেউ স্বভআবে ভিখারি।’ এই বক্তব্যের প্রতিবাদে কমিশনের দ্বারস্থ হন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি। সেই আবেদন খতিয়ে দেখার পর প্রথমে শোকজ, শেষপর্যন্ত সুজাতা মণ্ডল খাঁ-র প্রচারে ২৪ ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করল কমিশন।
আর বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু? শীতলকুচি গুলিকাণ্ড নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করে বিপাকে পড়লেন তিনি। উত্তরবঙ্গের ধূপগুড়িতে প্রচারে গিয়ে সায়ন্তন বলেছিলেন, ‘খেলা বেশি খেলতে যেও না,শীতলকুচির খেলা খেলে দেব। সকাল বেলা আনন্দ বর্মনকে মেরে দিল। প্রথম ভোট দিতে গিয়েছিল। বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি, ৪ ঘণ্টার মধ্যেই ৪টে কে রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে’। এমনকী, শোলে-র ডায়লগ উদ্ধৃতি টেনে তাঁর মন্তব্য, ‘এক মারোগে তো চার মারেঙ্গে, শীতলকুচিতেও তাই হয়েছে।’ এরপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাখ্যা চেয়ে সায়ন্তনকে শোকজ করে কমিশন। আর এবার ২৪ ঘণ্টার জন্য প্রচারে জারি হল নিষেধাজ্ঞা।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post