নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আজ সোনাই বিধানসভার অধীনে থাকা শিলডুবি শঙ্করজ্যেতি গীতাশ্রমের প্রাঙ্গনে বিশ্বশান্তি গীতাযজ্ঞ ও রুদ্রাভিষেকের আয়োজন করা হয়, ৩০ জানুয়ারি রবিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে বিশ্বশান্তি গীতা যজ্ঞের অধিবাস সহ গীতাপাঠ ও ভক্তদের মধ্যে শ্রীমদ্ভগবদগীতা প্রবচন পাঠ এবং পরের দিন সোমবার মঙ্গলারতি শ্রীশ্রী চন্ডীপাঠ,শ্রীশ্রী গুরুপূজা, রুদ্রাভিষেক, বিশ্বশান্তি গীতাযজ্ঞ করেন কাশী থেকে আগত শ্রীমৎ জ্ঞানানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ, শিলচর শঙ্করমঠ ও মিশনের কর্মাধ্যক্ষ শ্রীমৎ বিজ্ঞানানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ, শ্রীমৎ শ্যামচৈতন্য ব্রহ্মচারী মহারাজ, শ্রীমৎ জ্যোতির্ময়ানন্দ মহারাজ,শ্রীমৎ প্রবীরানন্দ মহারাজ,শ্রীমৎ স্বামী মহানন্দ গিরি মহারাজ, শ্রীমৎ সূর্য্যানন্দ গিরি মহারাজ,শ্রীমৎ স্বামী সুনির্মলানন্দ গিরি মহারাজ, শ্রীমৎ মনোজানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ।
আরো পড়ুন Banglar Gorbo Award 2022 Registration
কাশী থেকে আগত শ্রীমৎ জ্ঞানানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ বলেন, সনাতন ধর্ম যে পৃথিবীর প্রাচীনতম ধর্ম,তা নিয়ে আজ আর কোথাও কারো সংশয় নেই- এই পৃথিবীতে। শুধু প্রাচীনতম নয় সনাতন ধর্মই হলো পৃথিবীর উদারতম ধর্ম। নিষ্ঠাবান সনাতনী কোনদিনই পরধর্ম অসহিষ্ণু নয়।সে কখনোই ধর্মান্তরিত করা আর ভিন্নধর্মীকে হত্যা করাকেই ধার্মিকতার চূরান্ত বলে মনে করে না। বরং ধর্মান্তরিত সনাতনীকে সস্নেহে আবার তুলে নিয়েছে নিজের কোলে, সনাতনী ধর্ম হলো পৃথিবীর উদারতম ধর্ম।ও শিলচর শঙ্কর মঠ ও মিশনের কর্মাধ্যক্ষ শ্রীমৎ বিজ্ঞানানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ বলেন, শুধু সাধন দিয়ে নয়, শুধু বানী দিয়ে নয়, জীবনের প্রতিটি মূহুর্তকে কর্ম দিয়ে মূঢ়ে জড় জগতের চৈতন্য জাগ্ৰত করার মহান ব্রতে যিনি নিজেকে সমর্পণ করেছিলেন মূঢ় মানব জাতির অন্তর কর্ম-জ্ঞান-ভক্তি-ত্যাগ-সেবায় অগ্নিশলাকা দিয়ে বিদ্ধ করে সেখানে ধর্মের সুপবিত্র বাতাবরণ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন,উদাত্ত কন্ঠে যিনি শ্রীমদ্ভগবদগীতা পাঠ ও প্রচার করে গিয়েছেন, তিনিই হলেন আমাদের পরমপূজ্য বাবামনি শ্রীমৎ স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ।
আরো পড়ুন Online Drawing Competition 2022 : 24×7 NEWS BENGAL অনলাইন আঁকা প্রতিযোগিতা
সেই মহামানব বাবামনি শ্রীমৎ স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজকে আমরা কতটা জেনেছি,বুঝেছি,কতটা তাঁর অভিষ্ট লক্ষ্য পথে অগ্ৰসর হয়েছি,কতটা তাঁর অমিয় বাণীর সারবত্তা আমরা হৃদয়ঙ্গমে সক্ষম হয়েছি যুগের প্রয়োজনে এই প্রশ্নগুলোর সূত্র ধরে আমাদের আত্মসমীক্ষার প্রয়োজন আমরা কি অস্বীকার করতে পারি? শুধুই পূজা আরতি বন্দনা গান- ভোগ নিবেদনেই শ্রদ্ধা-জ্ঞাপন সীমাবদ্ধ রাখব,নাকি তাঁর অতুলনীয় কর্মপ্রবাহের সঙ্গে নিজেকে আমাদের আত্মসমীক্ষার প্রয়োজন ,তা আমরা অস্বীকার করতে পারি?নিজেকে সর্বতোভাবে যুক্ত করে তাঁর নির্দিষ্ট কর্মযজ্ঞে শরীক হবো-তাঁর শ্রীপদাঙ্ক অনুসরন করে তার মহামুক্তি মহামিলনের হিরন্ময় স্বপ্নকে সাকার সাধনায় ব্রতী হবে? মানবজাতির আধ্যাত্মিক ও আত্মিক উন্নতি সাধনকল্পে তিনি গড়ে তুলেছেন শঙ্করমঠ ও মিশন এবং শিলডুবি শঙ্করজ্যেতি গীতাশ্রম।সনাতন ধর্মে সকাল থেকে সন্ধ্যা ও সন্ধ্যা থেকে সকাল, জীবনের প্রতিটি মূহুর্তকে ধর্ম সাধনার অঙ্গ বলা হয়েছে।তাই চুরি করা, মিথ্যা কথা বলা,ব্যাভিচার করা,লোক ঠকানো অথবা যে কোনো অন্যায় থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সনাতন ধর্মে তাই মানবিক গুন গুলিকে ক্রমশ: বিকশিত করে। সেদিন সাধু ভান্ডারা সহ প্রায় এক হাজার ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরন করা হয়।উক্ত সনাতন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তথা ধর্মপ্রান দিলীপ মিত্র, রেবতী রঞ্জন তালুকদার, নেপাল চৌধুরী, মিঠু চৌধুরী , রঞ্জিত মিত্র,ভাণূ দে ,পরেশ দত্ত সহ অন্যান্যরা
Discussion about this post