সুরশ্রী রায় চৌধুরী: ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ব্রিগেডের ময়দানে ‘সংযুক্ত মোর্চা’র জন্ম। বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফ নেতাদের হাত ধরাধরির ছবি। ঘোষিত হল ‘সংযুক্ত মোর্চা’। ভোটের ফল বাম ও কংগ্রেস শূন্য। ভোট ফুরোতেই মোর্চার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। শুক্রবার সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি স্পষ্ট বলে দিলেন,’নির্বাচন শেষ। মোর্চা শেষ।’
২০১৬ সালে বাম-কংগ্রেস সমঝোতা হয়েছিল। জোট বলতে নারাজ ছিলেন সিপিএম নেতারা (CPM)। ভোটের পর পরিষদীয় রাজনীতিতে কাছাকাছি থাকলেও রাস্তাঘাটের কর্মসূচিতে আর দেখা যায়নি দুই শিবিরের নেতাদের। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে জোট নিয়ে আলোচনা চললেও ভেস্তে যায়। গত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস ও বাম জোটে অন্তর্ভুক্তি হয় আইএসএফের। তবে নির্বাচনী সাফল্য আসেনি। এর মধ্যে সনিয়া ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দিল্লি গিয়ে বৈঠক সেরে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রদেশ নেতৃত্ব প্রস্তাব পাঠালেও ভবানীপুরে প্রার্থী দিতে চায়নি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তখনই সংযুক্ত মোর্চার দেওয়াল লিখন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। শুক্রবার জনতা দলের নজির টেনে ইয়েচুরি বলেন,’মোর্চা ছিল বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ছিল। নির্বাচন শেষ। মোর্চাও শেষ। ইন্দিরা গান্ধীকে হারাতে জনতা পার্টি তৈরি হয়েছিল। হারিয়ে দেওয়ার পর জনতা পার্টি শেষ। তৎকালীন পরিস্থিতির বিচারে জোট তৈরি হয়েছিল। ভোটের পর আর প্রাসঙ্গিকতা থাকে না।’
বাম-কংগ্রেস জোট কতটা নীতিসম্মত তা নিয়ে ভোটের সময়ে প্রশ্ন উঠেছিল। ইয়েচুরির বক্তব্য প্রশ্ন উঠছে কেবলমাত্র নির্বাচনী সাফল্যের জন্যেই কি জোট? তাহলে জোটের বিশ্বাসযোগ্যতা কোথায়? রাজনীতির কারবারিরা স্মরণ করিয়ে দিলেন, ১৯৭৭ সালে ইন্দিরা গান্ধীকে হঠিয়েছিল বিরোধী জোট, যে উদাহরণ ইয়েচুরি দিলেন। কিন্তু তার ৩ বছর পরই ইন্দিরা গান্ধী ক্ষমতায় ফেরেন।
আরো পড়ুন দিনহাটার আকাশে উড়ল সম্প্রীতির ঘুড়ি
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর মন্তব্য, একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ‘২০১৬ সালে জোট হয়েছিল। আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে ওরা নিজেরা ভেঙে দিয়েছিল। ২০২১ সালে আবার জোট হল। উভয়ে হেরেছি। তারা মনে করছে জোটের দরকার নেই। আমরা এ কথা বলিনি।’
তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) কটাক্ষ, ‘শূন্যের সঙ্গে শূন্য যোগ বা বিয়োগ হলে শূন্যই হয়। এটা দিশাহীন জোট ছিল। এরা হাত মিলিয়ে কিছু ভোট পাওয়ার চেষ্টা করেছিল যাতে বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়া যায়।’ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, ‘মানুষ বাম-কংগ্রেস সুবিধাবাদী জোটকে ভরসা করেনি। ফলে বাংলার রাজনীতিকে দু’টি দলের মধ্যে মেরুকরণ করে দিয়েছে।’
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post