দীপ দেব: মহবীর হনুমান কলির অবতার। তিনি জ্ঞান আর গুণের সাগর। তিনি মঙ্গলের দেবতা। তিনি অমর। সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর আর কলি- সব যুগেই তিনি পরিত্রাতা। হনুমানজির কাছে কিছু চাইতে হয় না। শুধু মন-প্রাণ দিয়ে ডাকলে সংকটে হনুমানজি রীতিমতো সাড়া দেন। শাস্ত্র অনুসারে শ্রীরামের কাছ থেকে অমরত্বের আশীর্বাদ লাভ করেছিলেন হনুমান। সেই কারণে এই কলিযুগেও তিনি মর্ত্যলোকে বিরাজমান। বেদ ও নানা শাস্ত্রে বজরংবলীকে কলিযুগের দেবতা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। মনে করা হয়, যিনি সত্যিকারের ভক্তি দিয়ে বজরংবলীর আরাধনা করেন, তিনি অবশ্যই তাঁর দর্শন পান। সেই কারণে কলিযুগের জীবন্ত বা জাগ্রত দেবতা হিসেবে হনুমানজিকে পূজা করা হয়। বৃহস্পতিবার বেঙ্গলি ফরোয়ার্ড ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় শিলচরের শ্রী শ্রী অম্বিকেশ্বর শিব মন্দিরে দিনব্যাপী সপ্তম বার্ষিক শ্রী শ্রী হনুমান জন্মজয়ন্তী উৎসবে মুখ্য অতিথি জয়ঠাকুর সঞ্জীব গুপ্ত ভক্তদের উদ্দেশ্যে একথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, আজ মহাবীর হনুমানজির জন্মদিন।
ভজন, কীর্তন গেয়ে, হনুমান চালিশা পাঠ করে ও উপবাস রেখে হনুমান জয়ন্তী পালন করা হয়। তিনি বলেন, ভক্ত অনেক আছেন। কিন্তু সবাই ভক্ত হয়ে উঠতে পারছেন না। মন দিয়ে ভালোবাসতে হয়, মন দিয়ে ভগবানকে ডাকতে হবে। তখন না চাইলেও সবকিছু পাওয়া যায়। অর্থাৎ মন্দিরে গিয়ে শুধু ধূপ আর প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে ঈশ্বরকে পাওয়া যায় না। ঈশ্বরকে পেতে হল ভক্তদের মন্দিরে বসে আরাধনা করতে হয় বলে জানান তিনি। এদিন এর আগে জয়ঠাকুর সঞ্জীব গুপ্ত ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শ্রী শ্রী হনুমানকে পূজার্চনা করেন। জয়ঠাকুরের উপস্থিতিতে মন্দিরে ভক্তবৃন্দের ভিড় উপচে পড়ে।এদিন মন্দির পরিচালনা কমিটি তথা বেঙ্গলি ফরোয়ার্ড ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দেব জানান, এদিন শ্রী শ্রী হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে মন্দিরে পূজা শুরু হয় সকাল আটটা থেকে। তারপর এগারােটা থেকে শ্রীশ্রী রাম স্তুতি, সংকটমােচন হনুমান অষ্টক, বজরম বান, হনুমান চালিশা, হনুমান বান, সংকট মোচন, আরতি, অঞ্জলি প্রদান, যজ্ঞানুষ্ঠান ও ভক্তদের মধ্যে অন্ন প্রসাদ বিতরণ ইত্যাদি বিভিন্ন ধৰ্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিনের বেলা ইত্যাদি কর্মসূচির মধ্যে হনুমান জয়ন্তী উদযাপন করা হয়। এদিন সন্ধ্যায় হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে মুখ্য অতিথি জয়ঠাকুরকে ক্লাবের পক্ষ থেকে মিতালি দেব, জয়ন্তীকা ভট্টাচার্য, কৃষ্ণা দেব, জয়া কর প্রমুখ বরণ করেন।
পাশাপাশি ক্লাবের সভাপতি সুশীল কুমার কর ও বিশ্বজিৎ দেব পরিধেয় বস্ত্র দিয়ে মন্দিরে স্বাগত জানান । এছাড়া সন্ধ্যায় হনুমান চালিশা পাঠ ও আরতি সমাপন হয় বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, হনুমান জন্মজয়ন্তী বিধি অনুসারে ভগবান হনুমানের উপাসনা করলে ভক্তরা আশীর্বাদ লাভ করেন। সঙ্কটমোচন হনুমানের অনুগ্রহে ভক্তদের সমস্ত সমস্যা যাতে দূর হয় সেই বিশ্বাস রেখেই ভক্তদের সকল প্রকারের ইচ্ছা পূরণে অম্বিকেশ্বর শিব মন্দিরে দীর্ঘ বছর থেকেই পুজোর্চনা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এদিন অনুষ্ঠানের শেষে ভক্তদের উদ্দেশ্যে মহাপ্রসাদ ও লাডু বিতরণ করা হয়। এদিন অনুষ্ঠানে সহযোগিতায় ছিলেন ক্লাবের সহকারী সম্পাদক দেবাশীষ পুরকায়স্থ ও জয়দীপ দেব, জয় প্রকাশ কুর্মী, সুবীর দেব, বিজন ভট্টাচার্য, শ্যামল বণিক, সৌমেন রায়, বাচ্চু ধর প্রমুখ।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post