দেবা দাস, কৃষ্ণনগর : করোনাকালে বাঙালি দম্পতির নয়া নজির। সমস্ত করোনা বিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনেই চারহাত এক হতে চলেছে তাঁদের। অন্যদিকে তাঁদের এই শুভ পরিণয়ের সাক্ষী থাকছেন কমপক্ষে সাড়ে চারশো অতিথি। কিন্তু তাতেও কোনও সরকারি নীতি নির্দেশই অমান্য করছেন না তাঁরা। সৌজন্যে ইন্টারনেট।
আরো পড়ুন Banglar Gorbo Award 2022 Registration
জানা যাচ্ছে আগামী ২৪ জানুয়ারি সাত পাকে বাঁধা পড়ছেন কলকাতার সন্দীপন সরকার এবং অদিতি দাস। বিয়ের যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বিগত এক বছর ধরে। কিন্তু একেবারে শেষ লগ্নে যখন এই বিশেষ দিন আসা সময়ের অপেক্ষা মাত্র ঠিক তখনই দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। প্রায় প্রতিদিনই দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এই মারণ ভাইরাসে।ফলে করোনা রুখতে আবারও একগুচ্ছ কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশেই বিয়েতে আমন্ত্রিতদের সংখ্যা প্রথমে ৫০ এবং পরে ২০০ জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন ১১ মার্চের পর মরশুমি জ্বর, সর্দি, কাশির রূপ নিয়ে বিদায় জানাতে পারে করোনাভাইরাস: মত বিশেষজ্ঞর
এই নীতি নির্দেশের পরেই রীতিমতো মাথায় হাত পড়েছে সাধারণ মানুষের। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও নিজেদের সকল আত্মীয়, অতিথিদের উপস্থিতিতেই আগামী সোমবার চার হাত এক হচ্ছে সন্দীপন এবং অদিতির। তাঁদের বিয়েতে ২০০ জনের জায়গায় উপস্থিত হবেন ৪৫০ জন। কিন্তু তাঁর মধ্যে ১০০ জন সশরীরে উপস্থিত থাকবেন তাঁদের বিবাহ আসরে এবং বাকি ৩০০ থেকে ৩৫০ জন থাকবেন গুগল মিটে। অনলাইনেই তাঁরা সাক্ষী থাকবেন এই বিয়ের। সেক্ষত্রে যারা বাড়িতে বসেই এই বিবাহ অনুষ্ঠান দেখবেন তাঁদের খাবার পৌঁছে দেবে জ্যোমাটো নামের অনলাইন খাবার সরবরাহ সংস্থাটি। করোনা কালে এই অনবদ্য উপায়ে বিয়ে করার কথা প্রকাশ্যে আসতেই কার্যত রাতারাতি চর্চায় চলে এসেছেন এই দম্পতি।
আরো পড়ুন পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে অস্ত্র ভান্ডারের হদিশ
এই প্রসঙ্গে হবু বর সন্দীপন জানালেন, ‘এই করোনাকালে পরিবারের সদস্য এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি নিজে করোনা আক্রান্ত হয়ে বছরের শুরুতেই ৪ জানুয়ারি থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। আর তাই এই মুহূর্তে করোনা বিধি মেনে চলা এবং সুরক্ষিত থাকাই সবথেকে বড় বিষয় বলে আমার মনে হয়েছে। আর মূলত সেই কারণেই আমরা এই অভিনব উপায়ে বিবাহ অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
Discussion about this post